ছবি : সংগৃহীত ঢাকায় সুয়ারেজ সিস্টেম বলে কিছু নেই। শহরকে সুন্দর করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। রাজধানীতে গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এমন মত দিয়েছেন বক্তারা। গোলটেবিল আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল ‘রাজধানী ঢাকার পুনঃউন্নয়ন: ভূমি ও সেবার সর্বোত্তম ব্যবহার।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পুরকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী সৈয়দ শিহাবুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এসএম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইইবির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা বলেন, ‘ঢাকাকে পুনরায় কাঠামোবদ্ধ করার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সমন্বয় জরুরি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকার আশপাশের সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সেবাদাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় দরকার। এই কাজে সমন্বয় সাধনেএকটি মন্ত্রণালয় প্রয়োজন।’
আইইবির মুখপাত্র প্রকৌশলী এস.এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, ‘ঢাকা শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে আইইবির অবদান অনস্বীকার্য। আমরা এ সিটিকে পুনরায় কাঠামোবদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করছি। সকল দপ্তরের সমন্বয় ও সহযোগিতা একান্তভাবে দরকার।’
নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন লাগার ঘটনাগুলো স্মরণ করে দেয়, আমাদের রি-ডেভেলপ জরুরি হয়ে পড়েছে। সেজন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নীতিমালা প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে আরো উদ্যোগী হবে বলে আমার বিশ্বাস। আমরা একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। আমরা জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি।’
অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রি-ডেভেলপমেন্ট ও রি-সেটলমেন্টের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় দরকার। একটি অধিগ্রহণ আইনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার জনগণের জন্য মেট্রোরেল সুবিধা দিতে হবে। পরিবহন খাত সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে শহর ভেঙে পড়ে।’
খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, ‘উত্তর সিটি বর্ধিত অংশ নিয়ে লোকাল এরিয়া প্লান করছে। ঢাকার সুয়ারেজ সিস্টেম বলে কিছু নেই। ঢাকার খাল পুনরুদ্ধার না করলে এই সিটি টিকবে না। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো এই কাজে কে নেতৃত্ব দেবে।’
