সংগৃহীত ঢাকায় সুয়ারেজ সিস্টেম বলে কিছু নেই। শহরকে সুন্দর করতে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘রাজধানী ঢাকার পুনঃ উন্নয়ন: ভূমি ও সেবার সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন।
পুরকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী সৈয়দ শিহাবুর রহমানের সঞ্চালনায় ও আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর স্বাগত বক্তব্যে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা।
গোলটেবিলে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, বোর্ড অব অ্যাক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী এ. এফ. এম. সাইফুল আমিন, পুর কৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৌমিত্র কুমার মুৎসুদ্দি, অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, রিহ্যাবের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল, মেজর (অব.) প্রকৌশলী সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, ড. মো. মিজানুর রহমান, সাংবাদিক মাসুদ করিমসহ নগর উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইইবির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা বলেন, ঢাকাকে পুনরায় কাঠামোবদ্ধ করার লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য সমন্বয় জরুরি। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকার আশপাশের সিটি কর্পোরেশন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সেবা দাতা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় দরকার। একটি মন্ত্রণালয় প্রয়োজন এ কাজে সমন্বয় সাধন করার জন্য।
আইইবির মুখপাত্র ও সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী এস. এম. মনজুরুল হক মঞ্জু বলেন, ঢাকা শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে আইইবির অবদান অনস্বীকার্য। আমরা এ সিটিকে পুনরায় কাঠামোবদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করছি। সকল দফতরের সমন্বয় ও সহযোগিতা একান্তভাবেই দরকার।
নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আগুন লাগার ঘটনাগুলো স্মরণ করে দেয়, আমাদের রিডেভেলপ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সেজন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ নীতিমালা প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে আরো উদ্যোগী হবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমরা একটি খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। আমরা জনগণের সহযোগিতা কামনা করছি। উচ্ছেদ নিয়ে ভয় নয়, পুনঃস্থাপনের সুযোগ রয়েছে।
অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান বলেন, রিডেভেলপমেন্ট এবং রিসেটেলমেন্ট এর জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বয় দরকার। একটি অধিগ্রহণ আইনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। তিনি আরো বলেন, পরিবহন খাত সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে যে কোনো শহর ভেঙে পড়ে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার জনগণের জন্য মেট্রোরেল সুবিধা দিতে হবে।
খন্দকার মাহবুব আলম বলেন, উত্তর সিটি বর্ধিত অংশ নিয়ে লোকাল এরিয়া প্লান করছে। ঢাকার সুয়ারেজ সিস্টেম বলে কিছু নেই। ঢাকার খাল পুনরুদ্ধার না করলে এ সিটি টিকবে না। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো এই কাজে কে নেতৃত্ব দেবে।
মাসুদ করিম বলেন, গণমাধ্যমকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হবে। বিরাট অব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে ঢাকার মানুষ। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায় আছি আমরা। উন্নয়নের জন্য নাগরিক আন্দোলন প্রয়োজন।
