কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন শেষে ভুটানে ফিরলেন রাজা জিগমে

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম

ছবি : বণিক বার্তা

ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক কুড়িগ্রাম ধরলা সেতুর পূর্ব পাশে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে ১৪ সদস্যের সফরসঙ্গী নিয়ে তিনি পরিদর্শন করেন। পরে তিনি সড়কপথে জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।

এর আগে ভুটানের রাজা সফরসঙ্গীদের নিয়ে আজ সকালে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে সড়কপথে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে পৌঁছান। সেখানে মধ্যাহ্নভোজ শেষে দুপুর দেড়টায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম গ্রামে ২১৯ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হবে এ ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। স্থানটি ধরলা নদী ও সোনাহাট সড়কের পাশে হওয়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু হলে সুবিধা মিললে সড়ক পথ, নদী পথ ও রেল পথের। কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ভুটানের দূরত্ব মাত্র ৯৭ কিলোমিটার হওয়ায় সড়ক পথের এবং চিলমারী নৌ বন্দর দিয়ে পণ্য আনা নেয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, ভুটানের রাজা দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান এবং সেখান থেকে সার্কিট হাউজে অবস্থান করেন। এরমধ্যে তিনি দুপুরের খাবার শেষ করে ১টা ২০ মিনিটে অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন শেষে সোনাহাট হয়ে ভুটানে ফিরে গেছেন। 

এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য ডা. হামিদুল হক খন্দকার, সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান পলাশ, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ ও পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ভুটানের রাজার কুড়িগ্রাম সফরের বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় ও ব্যবসায়ীরা। কুড়িগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আব্দুল আজিজ জানান, ধরলার পাড়ে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হলে সড়ক, নদী ও রেল পথের সুবিধা মিলবে। এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন