দৌলতদিয়া ঘাটে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা

ঈদযাত্রায় ভোগান্তির কারণ হতে পারে অ্যাপ্রোচ সড়ক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি.রাজবাড়ী

ছবি: বণিক বার্তা

দেশের গুরুত্বপূর্ণ নৌরুট রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া দিয়ে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়। ঈদের সময় কয়েকগুণ বাড়ে। পদ্মার পানি কমে যাওয়ায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটের সবগুলো অ্যাপ্রোচ সড়ক স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ উঁচু হয়েছে। যে কারণে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। যাত্রী ও চালকরা বলছেন, জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা না নিলে ঈদে ভোগান্তির কারণ হতে পারে এই সড়ক। ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে ঈদে পারাপার নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে দৌলতদিয়ার চার নম্বর ঘাটে ফেরিতে উঠতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় পুরাতন টিন বহনকারী একটি ট্রাক। যে কারণে বুধবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ ছিল এই ঘাটের পারাপার। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন চালক ও তার সহযোগী। এর আগে গত সপ্তাহের বুধবার দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ফেরি থেকে নামতে গিয়ে পদ্মায় পড়ে যায় একটি কাভার্ড ভ্যান। এছাড়াও প্রতিদিনই ফেরি থেকে নামতে ও উঠতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার মোল্লা বলেন, পদ্মার পানি কমে দৌলতদিয়ার সচল থাকা ৩,৪ ও ৭ নম্বর ঘাটে সংযোগ সড়কগুলো উঁচু ও পল্টুন নিচু হয়েছে। যেদিকে কোনো খেয়াল নেই ঘাট কর্তৃপক্ষের। যে কারণেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

ফরিদপুর থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের সুপার ভাইজর মো. নাসির বলেন, ঘাটের এই অব্যবস্থাপনার জন্য দুর্ঘটনা ঘটছে। নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। এখনই ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক মেরামত না করলে ঈদে যাত্রী পারাপার হবে কষ্টকর।

রাজবাড়ী থেকে রাবেয়া পরিবহনে ঢাকায় যাওয়া যাত্রী লিটন খান বলেন, আমরা চাই একটি নিরাপদ ও ভোগান্তিমুক্ত ঘাট। যাতে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দে যেতে বেগ পেতে না হয়। ঈদের সময় পর্যাপ্ত ফেরি রাখা, ঘাট মেরামতসহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হোক।

বিআইডব্লিটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বাড়ানো হবে ফেরি। ঈদযাত্রায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫ টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ  সার্বক্ষণিক পারাপার করবে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বণিক বার্তাকে বলেন, ঘাটের নিরাপত্তায় থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘাটে চাঁদাবাজি ও দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে থাকবে টহল টিম। মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি আসতে পারে, আবার ঈদ শেষে নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরতে পারে সে জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন