স্মার্টফোনের সংবেদনশীল অংশ পরিষ্কারের সময় করণীয়

মোহাম্মদ আসিফ

ছবি: নিউইয়র্ক টাইমস

দৈনন্দিন জীবনে স্মার্টফোন এখন অন্যতম অনুষঙ্গ। দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করলে এর বিভিন্ন অংশে ময়লা জমতে থাকে। বিশেষ করে ক্যামেরা, স্পিকার, হেডফোন জ্যাক, ইয়ারপিসসহ সংবেদনশীল অংশে বেশি ময়লা জমে। তাই নিয়ম করে স্মার্টফোন পরিষ্কার করতে হয়। তবে পরিষ্কারের সময় বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পানি ব্যবহার না করা। 

পানি ছাড়াও ডিভাইস পরিষ্কারের সময় শক্ত কোনো কাপড় বা বেশি ক্ষতিকর কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। কেননা স্মার্টফোনের ডিসপ্লে ও ক্যামেরা তৈরিতে ব্যবহৃত উপাদান সংবেদনশীল।

স্মার্টফোনের ডিসপ্লে পরিষ্কার: স্মার্টফোনে ডিসপ্লে পরিষ্কারের সময় নরম কাপড় বা মাইক্রো ফাইবার ব্যবহার করা ভালো। টিস্যু ব্যবহার করলে ডিসপ্লের ওপর ধুলাবালি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া ডিসপ্লে পরিষ্কারে অল্প পানি, রাবিং অ্যালকোহল বা জীবাণুনাশক ওয়াইপ ব্যবহার করা যায়। তবে ডিভাইসের সামনে থাকা স্পিকার ও বেজেল পরিষ্কারের সময় সতর্ক থাকতে হবে। স্মার্টফোনের পেছনের অংশও একইভাবে পরিষ্কার করা যাবে।

স্মার্টফোনের চার্জিং ও হেডফোন জ্যাক: চার্জিং, হেডফোন থেকে শুরু করে যেকোনো কানেকশন পোর্ট পরিষ্কারের সময় সতর্ক থাকতে হবে। ধীরে কাজ না করলে এসব জায়গায় ময়লা থেকে যেতে পারে বা পোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব পোর্ট পরিষ্কারের জন্য আলাদা পদ্ধতি রয়েছে। কোনো সময়ই এগুলোয় কোনো নজেল প্রবেশ করানো যাবে না। কিছুটা দূর থেকে পোর্টগুলোয় বাতাস দিয়ে ময়লা বা ধুলো পরিষ্কার করতে হবে। কটন বাড বা টুথপিক ব্যবহার করেও ময়লা বের করা যাবে। তবে এটি ঝুঁকিপূর্ণ।

স্মার্টফোনে ক্যামেরা পরিষ্কার: দীর্ঘ সময় ব্যবহারের কারণে স্মার্টফোনের ক্যামেরা ও ফ্ল্যাশলাইটে ময়লা জমতে পারে। এতে করে ধারণ করা ছবি-ভিডিওর মান কমে যায়। তবে এ অংশগুলো পরিষ্কারের সময়ও সতর্ক থাকতে হবে। কটন সোয়াব ব্যবহারের মাধ্যমে সহজে স্মার্টফোনের ক্যামেরা পরিষ্কার করা যায়। রাবিং অ্যালকোহল ব্যবহার করলে সহজে ক্যামেরা পরিষ্কার হবে।

স্মার্টফোনের স্পিকার: স্মার্টফোনের স্পিকারে সবচেয়ে বেশি ধুলো-ময়লা জমে থাকে। তাই চার্জিং পোর্টের মতো স্পিকার পরিষ্কারের জন্য এয়ার ব্লোয়ার ব্যবহার করা যায়। তবে এখানেও ব্লোয়ারকে স্পিকার থেকে দূরে রাখতে হবে। স্পিকার পরিষ্কারের জন্য কোনো তরল পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না। এতে স্পিকারের ক্ষতি হবে।

স্মার্টফোন কেস: স্মার্টফোনের কেসের সঙ্গে কোনো বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকে না। তাই ডিভাইসে প্লাস্টিক বা রাবারের কেস ব্যবহার করলে হালকা গরম পানিতে ডিটারজেন্ট বা সাবান মিশিয়ে ধুয়ে ফেলা যাবে। পানিতে ধুতে না চাইলে রাবিং অ্যালকোহল ব্যবহার করে কেস মুছে নেয়া যাবে। স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতে কোনো প্রটেক্টর থাকলে মাইক্রোফাইবারে সামান্য পানি বা অ্যালকোহল নিয়ে হালকাভাবে পরিষ্কার করে নিলেই হবে।

স্মার্টফোন থেকে স্টিকার অপসারণ: সাধারণ স্মার্টফোনের পেছনে কোম্পানির দেয়া স্টিকার থাকে। এ স্টিকার ডিভাইস থেকে ওঠানো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। স্টিকার ভালোভাবে না ওঠানো হলে ডিভাইসে দাগ পড়ে যায়। এ কারণে স্টিকার ওঠাতে হলে প্রথমে হালকা গরম পানিতে ভেজানো কাপড় স্টিকারের ওপর রাখতে হবে। এতে স্টিকারের কোনাগুলো উঠে আসবে। এরপর আস্তে করে পুরোটা ওঠানো যাবে।

প্রযুক্তিবিদদের মতে, স্মার্টফোনে কোনো সমস্যা হলে মেরামতের জন্য নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টার বা দোকানে নিয়ে যাওয়াই ভালো। এতে করে ডিভাইসে দীর্ঘমেয়াদে কোনো সমস্যা হবে না।

মেক ইউজ অব অবলম্বনে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন