বর্তমানে লোকসানে রড বিক্রি করতে হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ
স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি
বলেন, এখন আমরা উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে রড বিক্রি করছি। এতে অনেকের পুঁজি কমে
গেছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি
তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্টিল শিল্প মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে
ব্যবসা বন্ধ করার উপক্রম হয়েছে, যার ফলে চূড়ান্ত পর্যায়ে ব্যাংক ঋণ খেলাপিতে পরিণত
হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্টিল শিল্প রক্ষার লক্ষ্যে অবিলম্বে এ সেক্টরকে সুরক্ষা দেয়া
অতীব জরুরি।
ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চলতি মূলধনের যে ৪০ শতাংশ ঘাটতি হয়েছে,
তা পরিশোধের জন্য স্বল্পমেয়াদি ঋণকে ১২ বছর পর্যন্ত দীর্ঘমেয়াদি ঋণে রূপান্তর করা।
বৈদেশিক মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির কারণে ক্রয়ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের জন্য
এলসি সুবিধা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা।
স্টিল শিল্পের জন্য ব্যাংকে গ্রাহক ঋণসীমা গণনার ক্ষেত্রে বর্তমান
১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্লান্টের ন্যায় ২৫ শতাংশ ভারিত হারে নন-ফান্ডেড
দায় গণনার বিষয় বিবেচনা করা।
বিদ্যুতের নতুন দাম ফেব্রুয়ারি মাসের পরিবর্তে মার্চ মাস হতে কার্যকর
করা। ভারি শিল্প পর্যায়ে বাল্ক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের শিল্পকারখানা চলমান রাখার স্বার্থে
গত ২৯ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে এক্ষেত্রে বিদ্যুতের যে মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে, তা
বৃদ্ধি না করা। বিদ্যুতের ডিমান্ড চার্জের ক্ষেত্রে গত ২৯ ফেব্রুয়ারির প্রজ্ঞাপনে যে
ন্যূনতম চার্জ বৃদ্ধি করা হয়েছে তা বৃদ্ধি না করা।
স্টিল খাতের জন্য উৎসে কর কর্তন ২ শতাংশের পরিবর্তে ০.৫০ শতাংশ নির্ধারণ
করা। স্টিলের কাঁচামাল স্ক্র্যাপের জন্য আমদানি পর্যায়ে ন্যূনতম অগ্রিম আয়কর টনপ্রতি
৫০০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিএম সনদ ফি বৃদ্ধি সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন বাতিল
করা এবং সিএম সনদ ফি টার্নওভারের ভিত্তিতে নির্ধারণ না করে নির্দিষ্ট করে দেয়া।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক প্রেসিডেন্ট মানোয়ার হোসেন, সেক্রেটারি জেনারেল
সুমন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মারুফ
মহসিন, আবদুস সালাম ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শহিদউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।