রাসায়নিক বর্জ্যে ফসলহানির প্রতিকার চান কুমিল্লার কৃষক

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, কুমিল্লা

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

কুমিল্লা ইপিজেডসহ দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক বর্জ্য আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের কৃষকের ফসল নষ্ট করছে। এছাড়া খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ের পানিতে মিশে পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। এর প্রতিকার চেয়ে ৫৫টি গ্রামের মানুষ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে।

গতকাল কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে বিষাক্ত বর্জ্যে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের জনগণের ক্ষতিপূরণ আদায় ও মহানগরীর প্রাকৃতিক খালের সঙ্গে বিষাক্ত তরল বর্জ্যের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি পুলিশ ও স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের বাধায় পণ্ড হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা। পরে তারা শ্রীনিবাসের ঘুইঙ্গাজুড়ি খালের ব্রিজের ওপর কর্মসূচি পালন করেন।

কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আক্তার হুসাইন, সমবায়ী নেতা সিরাজুল হক, ইসমাইল মজুমদার, ইউসুফ আলী মীর পিন্টু, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সুমন, ওমর ফারুক চৌধুরী, মাসুদ করিম, হাফেজ বেলাল হোসাইন, মিনহাজ হোসেন শামীম, আবুল কালাম আজাদ খোকা, দেলোয়ার হোসেন, মোস্তফা কামাল প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পক্ষে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের জন্য সদর দক্ষিণ উপজেলার জেলখানাবাড়ী এলাকায় ঘুইঙ্গাজুড়ি খালের পাড়ে একত্রিত হয়েছিলেন। বিষয়টি তারা পুলিশকেও জানিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্ষতিগ্রস্তরা সমবেত হতে থাকলে পুলিশ ও স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেন।

কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. মনিরুল হক চৌধুরী। কর্মসূচিতে বাধার কারণে তিনি অংশ নিতে পারেননি। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা ইপিজেড এবং এর বাইরের দুটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক বর্জ্য আশপাশের অর্ধশতাধিক গ্রামের ফসল ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা দীর্ঘ বছর ধরে নানা আন্দোলন করে এলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। এটা তো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না, এটা ছিল ৫৫টি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বেঁচে থাকার প্রশ্নে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি। এতেও বাধার মুখে পড়তে হলো।’ তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাদেমুল বাহার জানান, এখানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের অনুমতি ছিল না। মানববন্ধনের খবর পেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়েছেন। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় সেখানে মানববন্ধন করতে দেয়া হয়নি। পরে তারা বিকল্প স্থানে কর্মসূচি পালন করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন