প্যাকেজের দাম কমলেও সিলেটে বাড়েনি হজযাত্রী

নূর আহমদ, সিলেট

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

সরকারি-বেসরকারি খাতে গত বছরের তুলনায় প্যাকেজের দাম কমলেও এবার সিলেট অঞ্চলে হজযাত্রী বাড়েনি। এ অঞ্চলের ৩৫টি ট্রাভেল এজেন্সি হজযাত্রীর নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দু-তিনটি এজেন্সি মিলে একটির নামে হজের নিবন্ধন চালাচ্ছে। অতিরিক্ত খরচের কারণে অনেকের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য ভুক্তভোগীদের। বিকল্প হিসেবে অনেকে ওমরাহ পালন করছেন।

হজ এজেন্সির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া না কমিয়ে অন্যান্য সার্ভিসে ব্যয় হ্রাস করা ‘শুভঙ্করের ফাঁকি।’ পবিত্র হজের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সরকারকে আরো নমনীয় হওয়ার পরামর্শ তাদের। এক্ষেত্রে হজযাত্রী বহনে সব এয়ারলাইনসকে অনুমোদন এবং সমুদ্রপথে হজযাত্রী বহনের বিষয়টি বিবেচনার তাগিদ দেন তারা।

হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলের প্রায় ২ হাজার ৪০০ হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল প্রায় তিন হাজার।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সিলেট জেলা সূত্রে জানা গেছে, এবার সরকারিভাবে হজের জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন ১৮ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবার হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আর বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে সরকারিভাবে হজ প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছিল ৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। বেসরকারি প্যাকেজে খরচের সর্বনিম্ন সীমা ছিল ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা।

হাব সূত্র জানায়, কভিডের কয়েক বছর আগ থেকেই সিলেট অঞ্চলের হজ এজেন্সিগুলো তাদের নির্ধারিত হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারছে না। প্রাক-নিবন্ধনসংক্রান্ত অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে কমে যাচ্ছে হজযাত্রীর সংখ্যা। এর মধ্যে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) সরবরাহসংক্রান্ত জটিলতাও রয়েছে।

বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব বলেন, ‘অতিরিক্ত খরচের কারণে হজে যাওয়া অনেকের সামর্থ্যরে বাইরে চলে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে সিলেটেও। বিকল্প হিসেবে অনেকে ওমরাহ পালন করছেন। ওমরাহ যাত্রীরা তাদের পছন্দসই বিমান বেছে নিতে পারছেন।’ হজের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সরকারকে আরো নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক ও সিপার এয়ার সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বর্ধিত খরচের কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে হজে যেতে পারছেন না। সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের মধ্যে অনেকে প্রবাসে ছিলেন। এনআরবি কোটায় তাদের সম্পৃক্ত করা না গেলে সিলেটে হজযাত্রীর সংখ্যা আরো কমে যেত। সরকার হজযাত্রী বহনে সব এয়ারলাইনসকে অনুমোদন দিলে হজযাত্রা অনেকটা সহজ হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন