আফ্রিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন
সেনেগালকে টাইব্রেকারে হারিয়ে এবারের আফ্রিকান কাপ অব নেশন্স থেকে বিদায় করেছে স্বাগতিক
আইভরি কোস্ট। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর চারটায় শেষ হওয়া ম্যাচটি নির্ধারিত ৯০ মিনিট
ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শেষে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকলে টাইব্রেকারে গড়ায়। স্পট-কিকের
এই ভাগ্য পরীক্ষায় ৫-৪ গোলের জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
২০২১ সালে ক্যামেরুনে
অনুষ্ঠিত আসরের ফাইনালে মিসরকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবার মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্ব পায়
সানিও মানের দল সেনেগাল। এবার তারা বিদায় নিল শেষ ষোলো থেকে। সোমবার রাতে শেষ ষোলোর
আরেক ম্যাচে প্রথমবার নকআউটে ওঠা মৌরিতানিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে
কেপ ভার্দে।
চতুর্থ মিনিটে সাদিও মানের
ক্রস থেকে হাবিব দিয়ালো গোল করলে স্বপ্নের মতো সূচনা হয় সেনেগালের। যদিও শেষ হাসিটা
হাসল স্বাগতিকরা। ফ্রাঙ্ক কেসি ৮৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরান আইভরি
কোস্টকে। এরপর টাইব্রেকারেও দলের হয়ে পঞ্চম শটে গোল করে আইভরি কোস্টের জয় নিশ্চিত করেন
তিনি। সেনেগালের হয়ে তৃতীয় শটটি মিস করেন ইংল্যান্ডের নটিংহ্যাম ফরেস্ট ক্লাবে খেলা
সেন্টার-ব্যাক মুসা দিয়াখাতে।
এই জয়টি আইভরি কোস্টে
উৎসবের উপলক্ষ্য এনে দেয়। কেননা গ্রুপ পর্বে দু দুটি লজ্জাজনক হারে তাদের বিদায়ের শঙ্কা
জাগে। গিনি-বিসাউকে হারালেও পরে নাইজেরিয়া ও একুটোরিয়াল গিনির কাছে হেরেছে এলিফ্যান্টরা।
অবশেষে ‘সেরা তৃতীয়’ চার দলের একটি হয়ে তারা নকআউটের টিকিট পায়। সেই দলটি কিনা এবার
চ্যাম্পিয়নদেরও বিদায় করল।
২০১৫ সালের আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন
আইভরি কোস্ট মহাদেশীয় আসরে এ নিয়ে সেনেগালের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় তিনবারই জিতল।
আজ শেষ ষোলো পর্ব শেষ
হবে। রাত ১০টায় মুখোমুখি হবে মালি ও বুরকিনা ফাসো, রাত ১টায় গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট
মরক্কোর বিপক্ষে খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এখন পর্যন্ত কোয়ার্টার
ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, ডিআর কঙ্গো, গিনি, আইভরি কোস্ট, কেপ ভার্দে।
আজ জিতলে মরক্কো শেষ আটে সামনে পাচ্ছে কেপ ভার্দেকে, আর আইভরি কোস্টের প্রতিপক্ষ হতে
মালি কিংবা বুরকিনা ফাসো।
আফ্রিকান নেশন্স কাপের
৩৩ আসরে সর্বোচ্চ সাতবার শিরোপা জিতেছে মিসর। এছাড়া ক্যামেরুন পাঁচবার, ঘানা চারবার,
নাইজেরিয়া তিনবার, আইভরি কোস্ট, আলজেরিয়া ও ডিআর কঙ্গো দুবার করে এবং জাম্বিয়া, তিউনিসিয়া,
সুদান, সেনেগাল, ইথিওপিয়া, মরক্কো, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কঙ্গো একবার করে শিরোপা জিতেছে।