উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায় ইউজিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগে নীতিমালা তৈরির পাশাপাশি এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির মতামত গ্রহণের সুপারিশ করতে যাচ্ছে কমিশন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সংস্থাটির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সুপারিশ করা হতে পারে। এর আগে ইউজিসির ৪৬তম প্রতিবেদনে এ-সংক্রান্ত সুপারিশ তুলে ধরেছিল কমিশন।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে ইউজিসির উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, বিগত বছরে কমিশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু সুপারিশ করা হয়েছিল, যার অন্যতম ছিল ইউজিসির মতামতের আলোকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ। তবে এখন পর্যন্ত সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যেহেতু উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারারদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ আসা অব্যাহত রয়েছে, তাই ইউজিসির সুপারিশমালায় এবারো বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা করা হয়েছে। এবারের সুপারিশে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগে নীতিমালা তৈরির বিষয়টিও উল্লেখ করবে ইউজিসি। 

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘‌দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগ নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনা রয়েছে। এ-সংক্রান্ত যদি কোনো নীতিমালা থাকত তাহলে এমন অভিযোগের সুযোগ থাকত না। আবার শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রেও যদি কোনো কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতো তাহলেও কিন্তু ভিসিদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ উঠত না। স্বজনপ্রীতিরও কোনো সুযোগ থাকত না। আমরা আমাদের সুপারিশমালায় এসব বিষয় উল্লেখের চেষ্টা করব।’

ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘‌আমাদের প্রতিবেদনের সুপারিশমালা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রে নীতিমালা থাকা উচিত এবং ইউজিসির মতামত নেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। সুপারিশের বিষয়টি হয়তো অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। ‌বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু আমরা নিয়োগের আগে মতামত দিতে পারি এবং এর বেশ ভালো ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলনামূলক কম থাকে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ইউজিসির মতামত নেয়া হয় না। ফলে অনেক সময় দেখা যায়, যে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমরা কয়েক দিন আগে তদন্ত করেছি তিনিও কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পেয়ে যাচ্ছেন। যদি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ইউজিসির মতামত দেয়ার সুযোগ থাকে তাহলে এ ধরনের বিষয় এড়ানো যাবে।’ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন