![](https://bonikbarta.net/uploads/news_image/news_360511_1.jpg?t=1718537448)
দেশের অর্থনীতি কাগজের টাকাবিহীন হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকরা আজ স্মার্ট শ্রমিক ও কৃষকরা স্মার্ট কৃষকে পরিণত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়ামের সেমিনার হলে
একটি সেমিনারে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিতে চারটি বিষয় প্রয়োজন।
সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ, কঠোরভাবে আইনের প্রয়োগ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়
সাধন। এছাড়াও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও চারটি বিষয় প্রয়োজন। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট
অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি। তাছাড়া ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার থাকলে
এবং সেটি মেনে চললে তথ্য চুরির ঘটনা ঘটবে না বলেও জানান তিনি।
আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ক্যাশলেস ও পেপারলেস
কাঠামোগত উন্নয়নে তিনটি মূল বিষয় হলো ডাটা সেন্টার, সাইবার সিকিউরিটি ও ডিজিটাল সিগনেচার।
এর মধ্যে সাইবার সিকিউরিটি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ যা রক্ষায় আইসিটি বিভাগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
উভয় পর্যায়েই কাজ করে যাচ্ছে। সরকারি ডাটা সেন্টারগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি ডাটা সেন্টারগুলোও
বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
টেকনোহেভেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ
এন. করিম বলেন, বিভিন্ন সময়ে দেশে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি ছিল এবং এখন যে নেই তা বলা
যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক, নির্বাচন কমিশন, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাদ যায়নি।
সাইবার আক্রমণের পরিণতি হিসাবে আর্থিক ও সুনাম ক্ষতি, তথ্য প্রকাশ। সাইবার আক্রমণের
সাধারণ প্রকার হচ্ছে, ম্যালওয়্যার আক্রমণ, ফিশিং আক্রমণ, ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস এবং
ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল-অফ-সার্ভিস ইত্যাদি।
স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক
এবং প্রাক্তন মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনার যদি কোনো সম্পদ থাকে তার
নিরাপত্তার দায়িত্ব আপনার। ডিজিটাল সম্পদটি যা আমাদের ব্যক্তি জীবনসহ সামাজিক অর্থনৈতিক
জীবনের চালিকা শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে তার নিরাপত্তার জন্য আমরা কতটুকু দিয়েছি,
কতটুকু দিতে পারি, কতটুকু দেয়া উচিত। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহারে সচেতন হতে হবে।
মাঝে মধ্যে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা এবং প্রয়োজনে টু-ফ্যাক্টর অথনেটিক চালু রাখার পরামর্শ
দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং সাবেক সচিব, বিশ্বব্যাংকের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সাবেক নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম. আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত বেসিসের সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা সৈয়দ সাদাত আলমাস কবির, বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মাহমুদা নাজনীন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, আইডিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও কো-চেয়ারম্যানসহ অনেকে।