সেন্ট মার্টিনে স্বাস্থ্য সচেতনতা তৈরিতে আইআইইউসি ফার্মা ক্লাব

ফিচার প্রতিবেদক

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা এবং চিকিৎসার উন্নতির জন্য ওষুধ একটি মৌলিক উপাদান। এ মৌলিক উপাদানের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণে ফার্মাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণের মধ্যে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) ফার্মা ক্লাব একটি শিক্ষাসফরের আয়োজন করে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সেন্ট মার্টিন পরিপূর্ণ হলেও স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে জনসাধারণের সচেতনতার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া জনসংখ্যা অনুযায়ী চিকিৎসার পর্যাপ্ত সুযোগ বা উপকরণ নেই। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ৫-৭ ফেব্রুয়ারি আইআইইউসি ফার্মা ক্লাব সেন্ট মার্টিনে শিক্ষাসফরে যায়।

অ্যান্টিবায়োটিকের সঠিক ব্যবহার ও অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে জনসাধারণের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। প্রায় ১০০টি পরিবারকে স্বাস্থ্য ও রোগ সম্পর্কে মৌলিক বিষয় অবহিত করা হয় এবং জ্বর, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া ইত্যাদির প্রাথমিক চিকিৎসা, মৌলিক ওষুধ ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়। এ কর্মসূচিতে আইআইইউসি ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টের সম্মানিত শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী অধ্যাপক এএসএম আলী রেজা, প্রভাষক আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, প্রভাষক মো. মাসুদ মোরশেদ, প্রভাষক মো. আবু হানিফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম শহীদ। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইআইইউসি ফার্মা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম আনান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার কাদের, মো. আশিক চৌধুরী, ইশতিয়াক মোহাম্মদ আকিলসহ ক্লাবের অন্যান্য কার্যকরী কমিটির সদস্যরা এবং ডিপার্টমেন্টের আরো ৮০ জন শিক্ষার্থী। আইআইইউসি ফার্মা ক্লাবের সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ফার্মাসিস্টরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। বিশ্বে করোনা মহামারীতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও উৎপাদনে ফার্মাসিস্টরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তাছাড়া ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিকার-প্রতিরোধসহ ডিএন টেকনোলজির মাধ্যমে ইনসুলিন তৈরিতে ফার্মাসিস্টরা কাজ করছেন। দেশের শিল্পোন্নতিতে ওষুধ শিল্প অন্যতম। তাই ফার্মাসিস্টদের দায়িত্ব নিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করার জন্য ছাত্র অবস্থা থেকে আগ্রহী করে তুলতে হবে।’

এ উপলব্ধিকে ধারণ করে আইআইইউসি ফার্মা ক্লাব এবং সম্মানিত শিক্ষকরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপের জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে সচেতনতা পৌঁছে দিচ্ছে। ওই বিভাগের চেয়ারম্যান এটিএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এ সফরে শিক্ষার্থীরা যে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে শিখেছে, সেটি তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সাহায্য করবে। সব পেশার পাশাপাশি দেশের ফার্মাসিস্টরা দেশের উন্নতিতে ভূমিকা রাখবেন। তাদের সমন্বিত প্রয়াস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।’

সর্বোপরি সফলভাবে উদ্দেশ্যমূলক এ শিক্ষাসফর শেষ হয়। দেশের নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ শিল্পের বিপ্লবী পরিবর্তনের কারণে ওষুধ রফতানি করে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তাই চিকিৎসা খাতে ফার্মাসিস্টদের প্রয়োজনীয়তা অগ্রগণ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন