নাট্য সংগঠন

শান্তিনিকেতনে ববি নাট্যদলের"‘‌শূন্য সময়ের পথে’ মঞ্চায়ন

মো রাব্বি খান

অন্ধকার ছিঁড়ে দেখাই আলোর আকাশ—এ স্লোগান ধারণ করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ সালে সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশে তৈরি হয়েছিল ‘‌বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদল’। সময়ের স্রোতে বিলীন হতে যাওয়া মঞ্চনাটকের জৌলুস ধরে রাখতে বরিশালে কাজ করে যাচ্ছে এ নাট্যদলটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বরিশালের নানা অনুষ্ঠান, বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, মাওয়া জাজিরা পয়েন্টসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সফলতার সঙ্গে নাটক মঞ্চায়ন করেছেন। সম্প্রতি দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে ভারতের শান্তিনিকেতন ও ডোবার লেনে নাটক মঞ্চায়ন করে এ নাট্যদল।

নাটক মঞ্চায়নে ভারতের ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের অন্যতম ইন্দো বাংলা সাংস্কৃতিক সংগঠন"‘‌প্রাচী-প্রতীচি’ এর আমন্ত্রণ পায় সংগঠনটি। ২৭ মে সন্ধ্যায় শান্তিনিকেতনের বীরভূমে পঞ্চবন রিসোর্টে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদলের প্রধান উপদেষ্টা অনিমেষ সাহা লিটুর রচনা ও নির্দেশনায় ‘‌শূন্য সময়ের পথে’ নাটকটি মঞ্চায়ন করা হয়।  এর মূল প্রতিপাদ্য সাইবার আগ্রাসন। আধুনিক পৃথিবীর শক্তিশালী সৃষ্টি অনলাইনের অপব্যবহারের ভয়াবহতার দিকটি তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে নাটকে। প্রায় ৪০ মিনিটের নাটকটিতে রবীন্দ্র সংগীতের কোরিওগ্রাফির সঙ্গে মূল প্রতিপাদ্যের রয়েছে অসাধারণ সমন্বয়। নাটকটি দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ায় কলকাতায় মঞ্চায়নের জন্য আমন্ত্রণ জানায় একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৩০ মে কলকাতার ডোবার লেনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যায় দ্বিতীয়বারের মতো মঞ্চায়িত হয় নাটকটি। 

এগারো সদস্যবিশিষ্ট নাট্যদলের সদস্যরা হলেন ফারজানা ইয়াসমিন স্বর্ণা, মো. রাব্বি খান, সাজিদুল মুঈদ, মশিউর রহমান, রাকিব হাসান, সুদীপ কুণ্ডু সবুজ, সৈয়দা মাহবুবা সোমা, মো. সুজন আলী, পলাশ চন্দ্র দাও ও লামিয়া আক্তার পলি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নাট্যদলকে সংগঠিত করেছিলেন বরিশালের বিশিষ্ট নাট্যজন ও নাট্যনির্দেশক এবং বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদলের প্রধান নির্দেশক অনিমেষ সাহা লিটু। তিনি বলেন, ‘‌বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য দল নিয়মিত নাটক নিয়ে কাজ করে আসছে। এ সংগঠনের প্রতিটি  নাটকে নির্মাণ ও প্রয়োগে শিল্পমান বজায় রেখে সময়োপযোগী গল্প উপস্থাপন হয় বিভিন্ন নাট্যিক ধারায়। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্ট সংস্কৃতির তীর্থভূমি ভারতের বীরভূমে একটি নাটকের সফল মঞ্চায়ন সংগঠনটির অর্জনের ক্ষেত্রে আরেকটি মাত্রা বয়ে এনেছে।’ 

নানা টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় নাট্যদল হাতেম তাই, ওয়াপদা টর্চার সেল, গল্প যখন একাত্তরের, যে জীবনের শেষ নেই, স্বপ্নের আকাশে মেঘ, শূন্য সময়ের পথে নাটকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় সহ বরিশালের বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার মঞ্চায়িত হয়। নাট্যদলের সদস্য সাজিদুল মুঈদ বলেন, ‘‌এ নাটকের মাধ্যমে ওপার বাংলা এবং এপার বাংলার সাংস্কৃতির বিনিময় হয়েছে। প্রথমবারের মতো ভারত ভ্রমণ করতে পেরে সেখানকার মানুষের সঙ্গে, নতুন পরিবেশের সঙ্গে মিশে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যদল।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন