ফিল্ম ক্লাব

প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রেই সেরা নির্মাতা জাবির ঋদ্ধ

মেহেদী মামুন

পুরস্কার হাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি ছবি: ঋদ্ধ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে পড়াশোনা করেন ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলি। সবেমাত্র স্নাতকের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছেন। তবে সব ছাপিয়ে এখন তার পরিচয় একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে। ছোটবেলা থেকেই সিনেমা দেখতে ভালো লাগত ঋদ্ধর। মা টেলিভিশনের জন্য নাটক বানাতেন। তখন মা-বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে সিনেমা দেখতে গিয়ে কৌতূহল জাগতে মনে। পাশাপাশি ঋদ্ধর শৈশবের অনেকখানি জুড়ে ছিল শুটিং সেট। এসব কাছ থেকে দেখতে দেখতে চলচ্চিত্রে কাজের আগ্রহ তৈরি হওয়ায় অভিনয় করেছেন শিশুশিল্পী হিসেবেও। সিসিমপুরসহ বেশকিছু নির্দেশকের টিভি নাটক করতে গিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রেমে পড়েন তিনি। আরেকটু বড় হয়ে নিজেই কাজ করা শুরু করার একপর্যায়ে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রস্তুত করে কভিডের সময়ে প্রথম চলচ্চিত্রের কাজে হাত দেয়া। তার শখের ষোলোকলা পূর্ণ হওয়া শুরু হয়। এরপর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে ‘‌তরুণ বাংলাদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের খেতাব পায় ঋদ্ধের পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মাটি’। একই বছরের এপ্রিলে ভারতের বেঙ্গালুরুতে ওয়ান আর্থ অ্যাওয়ার্ডসে শিশু অধিকার বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের খেতাবও জেতেন তিনি। 

ঋদ্ধ মনে করেন, অর্জন আর ভালোবাসার ভিড়েও প্রত্যেকবার নতুন করে আবিষ্কার করেন নিজেকে, ভাবেন কাজটি আরো কত বেশি ভালো হতে পারত। সিনেমার এ জগতে মোরশেদুল ইসলাম, জাহিদুর রহমান ও অঞ্জন আরা শুধু তার শিক্ষকই নন, অনুপ্রেরণাও বটে। ভবিষ্যৎ ইচ্ছা ও পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, আরো বেশি শিখতে চান, বানাতে চান পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা এমনকি বাণিজ্যিক সিনেমাও। বাণিজ্যিক ছবিকে নতুনত্ব দিতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি। 

ঋদ্ধ বলেন, ‘‌ব্যস্ত থাকতে ভালো লাগে তাই এটাকে উপভোগ করি। রাজনীতি, পড়াশোনা, ফিল্ম—তিনটিই করতে ভালো লাগে তাই এগুলো করতে গিয়ে চাপ অনুভব করি না। তবে এটাও ঠিক অনেক সময় কিছু ক্ষেত্রে পিছিয়ে যেতে হয়। যেমন অনেকদিন একাডেমিক ব্যস্ততায় সিনেমার কাজে ঠিকঠাক মনোযোগ দিতে পারছি না। সমন্বয় করাটা এখানে মূল বিষয়। শিগগরিই কাজে ফিরব বলে আশা করছি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন