অস্তিত্বহীন ২২ প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করেছে কাস্টমস

হাফিজুর রহমান

অস্তিত্বহীন ২২ প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (উত্তর)। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত ও তাদের বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) বাতিলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দেয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ তালিকা তৈরি করেছে। সম্প্রতি এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। 

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন কমিশনারেটে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানে বিআইএন বাতিল ও আর্থিক সামর্থ্যের তুলনায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের তালিকা এনবিআরে পাঠাতে বলা হয়। এ চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ২২ প্রতিষ্ঠানকে অস্তিত্বহীন হিসেবে চিহ্নিত করে একটি হালনাগাদ তালিকা তৈরি করে কাস্টমস, এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (উত্তর)। এসব প্রতিষ্ঠানের বিআইএন বাতিলের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও এনবিআরকে জানিয়েছে কমিশনারেট অফিস। 

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর সবই গাজীপুরের। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে মিম কনস্ট্রাকশন, শরীফ আর্ট, ওমর এন্টারপ্রাইজ, কফি ওয়ান বিডি, স্টিচ মেড লিমিটেড, হোসেন এন্টারপ্রাইজ, এমকে প্রিন্টার অ্যান্ড প্যাকেজিং, এশিয়ান স্টিল টেকনোলজি, সিঙ্গা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেড, সিফাত এন্টারপ্রাইজ, শাহিন এন্টারপ্রাইজ, জামান বস্ত্রালয়, এফ অ্যান্ড এফ সোর্সিং, ভোজন বিলাশ হোটেল অ্যান্ড রেস্তোরাঁ, ইএস এন্টারপ্রাইজ, জাপানি স্টিল কিং, জামাল এন্টারপ্রাইজ, মার্স, জয় গ্লাস অ্যান্ড অ্যালুমিনিয়াম ফ্যাব্রিকেটর্স, জাপান মেশিনারি অ্যান্ড সুইং মেশিন ও আকাশ এন্টারপ্রাইজ।

এ বিষয়ে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা উত্তরের কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী বলেন, ‘‌এসব প্রতিষ্ঠান ব্যবসা বন্ধ করে চলে যাওয়ায় তারা অস্তিত্বহীন।’ হঠাৎ অস্তিত্বহীন হয়ে গেল কেন, যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো সমস্যা ছিল কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, ‘‌যখন একটা প্রতিষ্ঠান বিআইএন চালু করার জন্য আবেদন করে, তখন সরজমিনে কর্মকর্তারা সেটা পরিদর্শন করেন। প্রতিষ্ঠানটা কী করে, কত বড়, সবকিছু ঠিক আছে কিনা। সার্ভিস যেটা দেবে উল্লেখ করেছে, তা ঠিক আছে কিনা এসব যাচাই করেই বিআইএন দেয়া হয়।’ 

তালিকা প্রকাশের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‌তাদের বকেয়া ছিল। বকেয়ার বিষয়ে আয়কর বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে খবর পাঠাই। বিআইএন নেয়ার সময় যে এনআইডি নিয়েছিল, সে এনআইডি অনুযায়ী সব ব্যাংকে নোটিস পাঠাই। চিঠিতে সরকার কী পরিমাণ টাকা তাদের কাছে পাই, সেটা ব্যাংককে জানাই।’

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, কমিশনারেটের পক্ষে থেকে শুধু তালিকা পাঠানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সম্মিলিতভাবে কয়েক কোটি টাকার রাজস্ব পাবে এনবিআর। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে এ টাকা আদায় সম্ভব হবে না। কারণ বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকে প্রতিষ্ঠানের মালিক বিদেশেও পাড়ি দিয়েছে বলে জানা যায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন