বাণিজ্যিক ফ্লোটিং সোলার প্রকল্পে ইডকলের অর্থায়ন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ফ্লোটিং সোলার প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে ইডকল। ৭৮৪ কিলোওয়াট ক্ষমতার এ প্রকল্প আগে মাছ চাষের জন্য তৈরি কৃত্রিম জলাশয়ের অব্যবহৃত স্থানে নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশের প্রথম গ্রিডে সংযুক্ত বড় আকারের ভাসমান সোলার পিভি সিস্টেম। ইডকল এ প্রকল্পের জন্য কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি রেয়াতি অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছে।

প্রকল্পটি চাঁপাইনবাবগঞ্জে নবাব অটো রাইস অ্যান্ড ফিড মিলস লিমিটেডের প্রাঙ্গণে একটি পুকুরের ওপর অবস্থিত। পুকুরটির আয়তন ২২ হাজার বর্গমিটার। এটি ফুড-এনার্জি যোগসূত্রের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে মাছ চাষের পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। প্রকল্পটিতে বিশেষভাবে ডিজাইন করা ভাসমান প্লাটফর্মে সারিসারি স্তূপাকৃতি করা অসংখ্য সৌর প্যানেল রয়েছে। এ প্যানেলগুলো মাছের উৎপাদন ব্যাহত না করে সবুজ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। উৎপাদিত সবুজ বিদ্যুৎ দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য পূরণে ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অবদান রাখবে।

ভাসমান সৌর প্যানেলগুলো বাষ্পীভবন কমিয়ে জলাধারের পানি সংরক্ষণে ভূমিকা রাখে।৷প্যানেলের নিচের পানি পিভি প্যানেলের তাপমাত্রা কমিয়ে রাখে, ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৬-১০ শতাংশ বাড়ে।

উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলার মোংলা পৌরসভার একটি পুকুরে ১০ কিলোওয়াট ভাসমান সোলার পিভির একটি পাইলট প্রকল্প স্থাপন করা হয়েছিল। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ হওয়ায় ভাসমান সৌর প্রকল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশে প্রকল্পটি ভূমির ঘাটতি ও সবুজ বিদ্যুতের মতো সমস্যাগুলোর জন্য একটি নজির স্থাপন করেছে। —বিজ্ঞপ্তি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন