পারমাণবিক ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া

বণিক বার্তা অনলাইন

ছবি: রডং সিনমুন

জাহাজ ও সাবমেরিনে হামলার জন্য নতুন ধরনের পারমাণবিক ড্রোনের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পানির নিচে হামলায় সক্ষম এই ড্রোন।

পিয়ংইয়ং জানায়, সমুদ্রের গভীরে বিস্ফোরিত হয়ে তেজস্ক্রিয় সুনামি ছড়ানোর মাধ্যমে শত্রুর জাহাজ ও বন্দর ধ্বংস করতে পারে এই ড্রোন। সমুদ্রের প্রায় ৫শ ফুট গভীরে গিয়ে আঘাত হানে এই অস্ত্র। এই পরমাণবিক আন্ডারওয়াটার ড্রোন যেকোনো উপকূলীয় এলাকা ও বন্দরে আঘাত হানতে সক্ষম।

উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, পরীক্ষার সময় উত্তর কোরিয়ার নতুন ড্রোনটি ৮০ থেকে ১৫০ মিটার (২৬০-৫০০ ফুট) গভীরতায় ৫৯ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পানির নিচে ভ্রমণ করে।

জানা যায়, 'হাইল' বা সুনামি নামে পরিচিত উত্তর কোরিয়ার নতুন এই ড্রোন সিস্টেমটি পানিতে লুকিয়ে শত্রুর ওপর আক্রমণ করা এবং পানির নিচে বিস্ফোরণের মাধ্যমে বড় তেজস্ক্রিয় তরঙ্গ তৈরি করে নৌবাহিনীর স্ট্রাইক গ্রুপ ও প্রধান অপারেশনাল বন্দরগুলোকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।

কিম জং উন এই পরীক্ষাটি তত্ত্বাবধান করেছেন জানিয়ে উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমটি বলছে, এই পারমাণবিক আন্ডারওয়াটার অ্যাটাক ড্রোনটি যে কোনও উপকূল এবং বন্দরে মোতায়েন করা যেতে পারে বা অপারেশনের জন্য জাহাজ দিয়ে টেনে নেয়াও যেতে পারে।

চলতি বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিক ব্যালিস্টিক এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে কিম জং উনের দেশ। পিয়ংইংয়ের ক্রমবর্ধমান হুমকি মোকাবিলায় গত ১৩ মার্চ থেকে দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে গত পাঁচ বছরের মধ্যে বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ধরনের সামরিক মহড়াকে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে কিম জং উনের প্রশাসন। ফলে অপ্রতিরোধ্য পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে দেশটি। সম্প্রতি কিম জং কোরীয় সেনাবাহিনীকে সত্যিকার যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশও দিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন