সিপিডির সংবাদ সম্মেলন

নবায়নযোগ্য শক্তি বাড়াতে জীবাশ্ম জ্বালানি নিরুৎসাহিত করা দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানিকে নিরুৎসাহিত করা না হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। জীবাশ্ম জ্বালানিকে রেখে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে উৎসাহিত করতে চাইলে তা শুধু বাসার ৪০ পাওয়ারের টিম টিম বাতির মধ্যে থেকে যাবে। কারণ নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য এখানে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নেই। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা বিনিয়োগকারীরা পান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে একই সুযোগ-সুবিধা তারা পান না। এ বৈষম্য আগে দূর করা দরকার। জীবাশ্ম জ্বালানির এ কাঠামোগুলো ধীরে ধীরে বিলোপ করা দরকার। 

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে আসে। গতকাল ধানমন্ডির সিপিডি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এদিন ‘নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতি ২০২২ (খসড়া): এটি কি পরিচ্ছন্ন জ্বালানির লক্ষ্য পূরণ করতে সক্ষম হবে?’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংস্থাটি।

তিনি বলেন, ‘‌প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, আমাদের ৪০ শতাংশ পর্যন্ত নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রয়োজন। নতুন নীতিতে তা দাঁড়িয়েছে ‘আপ টু ৪০ পার্সেন্ট’-এ। তার মানে দাঁড়াল, ৪০ শতাংশ হলেও তা ‘‌আপ টু ৪০ পার্সেন্ট’ আর ১০ শতাংশ পর্যন্ত হলেও তা ‘‌আপ টু ৪০ পার্সেন্ট’ ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে পড়ে। বর্ণনাগত পরিবর্তন করে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব কমিয়ে দেয়া হয়েছে, এ অবস্থান থেকে সরকারের সরে আসা দরকার। ক্লিন এনার্জির নাম করে যে ধরনের প্রযুক্তিকে ক্লিন এনার্জি বলা হচ্ছে তা থেকেও সরে আসা দরকার। মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি করার যে ঘোষণা ‌প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তা যেন ভিত্তি হিসেবে ধরে নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘‌নতুন নবায়নযোগ্য যে জ্বালানি নীতি হবে তা যেন অন্য ডকুমেন্টের জন্য ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এ ডকুমেন্টে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য যে ধরনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হবে, সমধর্মী নীতিগুলোর জন্য এসব লক্ষ্য যেন ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।’ 

পলিসির দুর্বলতা নিয়ে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘‌বাংলাদেশের যে পলিসি ডকুমেন্ট রয়েছে তা এখনো দুর্বলতর। যে বিষয়গুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে থাকা দরকার, যেমন পোর্টফোলিও স্ট্যান্ডার্ড, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং, ফাইন্যান্সিং, ট্যাক্স ইনসেনটিভ ইস্যু যাতে এ নীতিমালার মধ্যে সন্নিবেশিত হয়। আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে সরকার প্রণীত নীতিমালার মধ্যে একটির সঙ্গে আরেকটির যে সম্পর্ক, সাযুজ্য থাকার কথা তা নেই। যেমন স্রেডা অ্যাক্টে এনার্জি অডিটের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু রিনিউয়েবল এনার্জি পলিসিতে এনার্জি অডিটের কথা বলা হয়নি। আবার স্রেডা অ্যাক্টে ট্যাক্স মওকুফের বিষয়গুলো নেই কিন্তু রিনিয়েবল এনার্জিতে তা বলা হয়েছে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন