সরকারের দমন-নির্যাতন, দলের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নে এবার দেশের সব বিভাগে একযোগে সমাবেশ করবে বিএনপি। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী এ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হবে। গতকাল নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকালের সমাবেশটি আয়োজন করেছিল ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ইউনিট। একই সঙ্গে আরো নয় মহানগরে একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে না সরবে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা আমাদের বন্দি ভাইদের মুক্ত করতে পারছি, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের নেতা রুহুল কবির রিজভী, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ অগণিত নেতাকে মুক্ত করতে পারছি ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করেছে। প্রতিবার প্রতিদিন তারা হত্যা করে চলেছে, আমাদের স্বপ্নগুলোকে ভেঙে ফেলেছে। তাই এ আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরাতে হবে। আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। প্রতিটি আন্দোলন সফল হচ্ছে। প্রতিটি কর্মসূচিতে জনগণ আরো বেশি করে সম্পৃক্ত হচ্ছে। আগামী দিনগুলোয় আমাদের অবশ্যই আন্দোলনে সফল হতে হবে। আমরা অবশ্যই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’
এ সময় দেশের বিভাগীয় শহরগুলোয় একযোগে সমাবেশের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল। উল্লেখ্য, ১০ দফা দাবিতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে এটি তার তৃতীয় কর্মসূচি। গত ২৪ ডিসেম্বর নয় বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে গণমিছিল এবং ১১ জানুয়ারি অবস্থান কর্মসূচি পালন করে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো।
এছাড়া সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজ আমাদের নেতাকর্মীদের শপথ নিতে হবে, এ দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ইস্পাত কঠিন গণঐক্য সৃষ্টি করে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। এ সরকারকে বিদায় করা না হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না। এ দেশের অর্থনীতি মেরামত হবে না, এ দেশে আইনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের আমিনুল হকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।