গোলমরিচ রফতানিতে রেকর্ড আয় ভিয়েতনামের

বণিক বার্তা ডেস্ক

সদ্যবিদায়ী বছরে ভিয়েতনামের গোলমরিচ রফতানি আয় তিন বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে মসলাপণ্যটির রফতানি মূল্য বেশি থাকায় সুবিধা পেয়েছে দেশটি। তবে চলতি বছর গোলমরিচের বৈশ্বিক বাজার উন্নয়ন কিছুটা অনিশ্চয়তার মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর দ্য স্টার।

ভিয়েতনাম পিপার অ্যাসোসিয়েশনের (ভিপিএ) দেয়া তথ্যমতে, ২০২১ সালে দেশটির গোলমরিচ রফতানির পরিমাণ লাখ ৬০ হাজার টনে পৌঁছেছে। রফতানি থেকে আয় এসেছে ৯৫ কোটি ডলার। এক বছরের ব্যবধানে রফতানির পরিমাণ শতাংশ কমলেও আয় বেড়েছে ৪৪ শতাংশ।

তথ্য বলছে, অতিরিক্ত সরবরাহ এবং বড় পরিসরে দাম কমে যাওয়ার কারণে চার বছর ধরে চ্যালেঞ্জের মুখে ছিল ভিয়েতনামের গোলমরিচ শিল্প। তবে গত বছর শিল্পে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার ঘটেছে। পণ্যটির ক্রয়মূল্য ৪০-৪৪ শতাংশ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে প্রতি কেজির দাম উঠেছে ৫১-৫৩ হাজার ডং পর্যন্ত। মার্চে দাম আরো বেড়ে ৭৬-৭৯ হাজার ডংয়ে উন্নীত হয়। অক্টোবরের শেষ দিকে এসে ক্রয়মূল্য ৯০ হাজার ডংয়ে পৌঁছে, যা ২০১৭ সালের পর রেকর্ড সর্বোচ্চ। গত বছরের শুরুর তুলনায় বর্তমানে পণ্যটির ক্রয়মূল্য ৫৩-৫৪ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছরের তুলনায় বেড়েছে অনেক বেশি। এমন মূল্যবৃদ্ধি স্থানীয় শিল্পটির নতুন উচ্চতায় পৌঁছনোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, বর্তমানে প্রতি টন ভিয়েতনামিজ গোলমরিচের রফতানি মূল্য হাজার ডলার।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছর ভিয়েতনামে গোলমরিচ আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে। কারণেই মূলত পণ্যটির দাম হু হু করে বেড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দাম নিম্নমুখী থাকায় দেশটির কৃষকরা আবাদের পরিমাণ কমিয়ে আনেন।

২০২১ সালে ভিয়েতনামে লাখ ৮০ হাজার টন গোলমরিচ উৎপাদন হয়েছে। ২০২০ সালের তুলনায় উৎপাদন ২৫ শতাংশ কমেছে। চলতি বছরও উৎপাদনে নিম্নমুখিতা অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন