দেশের খবর

বরিশালের জুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফরচুন সু কারখানায় ভাংচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রতিষ্ঠানটির আনসার সদস্যরা ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। বকেয়া বেতন চাওয়া নিয়ে গতকাল বিকাল ৫টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে কাউনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান ও কয়েকজন আনসার সদস্য আহত হন। তবে শ্রমিকরা দাবি করেন, আনসারদের গুলিতে কারখানার কর্মচারী মেহেদি হাসান গুলিবিদ্ধ এবং আহত হয়েছেন কামরুল হাসান, সুমন ও আবুল হাসান। তাদের বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের উপস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান শ্রমিকদের আলোচনার প্রস্তাব দেন। সমঝোতা বৈঠকের জন্য আন্দোলনকারী শ্রমিকদের কাছে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চাওয়া হয়েছে।

আনসার কমান্ডার ইউসুফ আলী জানান, শ্রমিকরা ভাংচুর শুরু করলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। শ্রমিক বহনকারী সাতটি বাস ও তিনটি ট্রাক এবং বাইরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানার কাচ ও দরজা-জানালা ভাংচুর করেছেন শ্রমিকরা।

তবে শ্রমিক রাসেল ও রাজিয়া জানান, তাদের মাসের বেতন পরের মাসের ২০ তারিখের পর দেয়া হয়। সে হিসাবে শ্রমিকদের নিয়মিত দুই মাসের বেতন বকেয়া পড়ে। বকেয়া বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধের নির্ধারিত দিন ছিল গতকাল। শ্রমিকরা বেতন আনতে গেলে ১৫ দিনের বেতন নিতে বলা হয়। এতে ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালায় আনসার সদস্যরা। এ খবর অন্য কারখানায় পৌঁছলে সেখানকার শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভে অংশ নেন।