চলতি বছর এলএনজি আমদানিতে শীর্ষে থাকবে চীন

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বাজারে যুক্তরাষ্ট্র চীন যথাক্রমে শীর্ষ রফতানিকারক আমদানিকারকের স্থান দখল করে রাখবে। সম্প্রতি আইএইচএস মার্কিটের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস পাওয়া যায়। গত বছর বিশ্ববাজারে এলএনজি রফতানিকারকের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে ছিল অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। দেশ দুটির রফতানীকৃত এলএনজির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে কোটি ৩০ লাখ কোটি ১৩ লাখ টন। একই সময়ে তৃতীয় স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের রফতানীকৃত এলএনজির পরিমাণ ছিল কোটি ৩৬ লাখ টন। খবর এনার্জি ক্যাপিটাল অ্যান্ড পাওয়ার এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।

২০২১ সালে আফ্রিকার শীর্ষ এলএনজি রফতানিকারক দেশ ছিল নাইজেরিয়া, আলজেরিয়া মিসর। দেশগুলো যথাক্রমে কোটি ৭৯ লাখ, কোটি ২৩ লাখ ৬৯ লাখ টন এলএনজি বিশ্ববাজারে রফতানি করে। একই সময়ে তরলীকরণ ক্ষমতা সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরবরাহ শৃঙ্খলে কোটি ৫০ লাখ টন অতিরিক্ত এলএনজি যুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে দেশটির এলএনজি প্লান্টগুলোর গড় উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে এটি যুক্ত হয়ে এলএনজি উৎপাদন ক্ষমতা ৯৮ শতাংশ বেড়েছে।

অন্যদিকে ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে এলএনজির শীর্ষ আমদানিকারকের স্থান দখল করে রেখেছে চীন। গত বছর মোট কোটি ১০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করে দেশটি। ফলে জাপানের কাছ থেকে শীর্ষ আমদানিকারকের তকমা দখলে নেয় চীন। সময়ে দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহারও রেকর্ড পরিমাণ বাড়ে। শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ ব্যবহার বাড়ার ফলে চীনে এলএনজির চাহিদার বিশাল আকারের উল্লম্ফন দেখা দেয়।

চলতি বছর চীনে এলএনজির চাহিদা গত বছরের তুলনায় আরো বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। তবে ২০২১ সালের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার অনেকটা ধীরগতি লাভ করবে বলে জানান বিশ্লেষকরা। অর্থনৈতিক চাপ স্পট এলএনজির ঊর্ধ্বমুখী দামের ফলে প্রবৃদ্ধি ধীরগতি অর্জন করবে বলে মনে করছে বাজার বিশ্লেষকরা।

চীনের জাতীয় তেল কোম্পানি সিনোপ্যাকের গবেষণা বিভাগ সিনোপ্যাক ইকোনমিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ধারণা অনুযায়ী চলতি বছর দেশটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা ৩৯ হাজার ৫০০ কোটি ঘনমিটারে পৌঁছবে, যা ২০২১ সালে ব্যবহূত আনুমানিক ৩৭ হাজার কোটি ঘনমিটারের তুলনায় শতাংশ বেশি।

ন্যাশনাল এনার্জি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনইএ) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে চীনে এলএনজি চাহিদা বাড়ার পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক শতাংশ। চলতি বছর জ্বালানি পণ্যটির চাহিদা বাড়ার হার গত বছরের তুলনায় ধীরগতির সম্মুখীন হবে। ২০২০ সালে দেশটিতে এলএনজির চাহিদা ছিল ৩২ হাজার ৮০০ কোটি ঘনমিটার। এনইএর দেয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৫ সাল নাগাদ চীনে এলএনজির চাহিদা দাঁড়াবে ৪৩ হাজার কোটি থেকে ৪৫ হাজার কোটি ঘনমিটার পর্যন্ত। পূর্বাভাস অনুযায়ী দেখা যায় সামনের চার বছর যাবত দেশটিতে এলএনজির চাহিদা বৃদ্ধির হার এক অংক পরিমাণ বাড়বে।

চলতি বছর চীনের এলএনজি আমদানি সক্ষমতার পরিমাণ আরো কোটি ১৫ লাখ টন বাড়বে, যা ২০২১ সালে যুক্ত হওয়া কোটি ৪০ লাখ টনের চেয়ে বেশি। ২০২০ সালে ৭৮ লাখ ৫০ হাজার টন এলএনজি আমদানি সক্ষমতা বাড়িয়েছিল চীন। বর্তমানে চীনে নতুন আটটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প দুটি টার্মিনাল সম্প্রসারণ প্রকল্প চলছে। এগুলো সম্পন্ন হলে চলতি বছরে দেশটির মোট এলএনজি আমদানি গ্রহণ সক্ষমতা বেড়ে দাঁড়াবে ১২ কোটি ৭০ লাখ টন। ২০২১ সালে দেশটির আমদানি গ্রহণ সক্ষমতা ছিল ১০ কোটি ৫৮ লাখ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন