ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান

বৈশ্বিক আর্থিক কর্মকাণ্ডের ৫০% হলেও বাংলাদেশে যৎসামান্য

হাছান আদনান

বিশ্বব্যাপী বন্ড ইকুইটির বাজার সৃষ্টিতে অনবদ্য অবদান রাখছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) খাত। দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিতরণের মাধ্যমে শিল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রিয়েল এস্টেট খাতের বিকাশ, অবকাঠামো উন্নয়নেও খাতটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। লিজ ফাইন্যান্স, কমার্শিয়াল পেপার, সিকিউরিটাইজেশনসহ আধুনিক আর্থিক সেবা উদ্ভাবনের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকে প্রাণোদ্দীপ্ত রাখার দায়িত্বও পালন করছে এনবিএফআইগুলো। যদিও এক্ষেত্রে একেবারেই বিপরীত চিত্র বাংলাদেশে। এখানে কার্যরত সিংহভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠানই সংগ্রাম করছে অস্তিত্ব রক্ষার। গ্রাহকের আমানতের অর্থ ফেরত না দিতে পারার লজ্জাজনক পরিস্থিতিও তৈরি করেছে অন্তত এক ডজন আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা জরিপের ফলাফল বলছে, সারা বিশ্বে ব্যাংকের তুলনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ শক্তিশালী হচ্ছে। গত শতাব্দীর আশির দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংকের জামানতবিহীন ঋণের হার ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে ধরনের ঋণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বাজারভিত্তিক অর্থায়ন, বন্ড কমার্শিয়াল পেপারের মাধ্যমে বাজার দখলে নিয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের করপোরেট ঋণের ৬৫ শতাংশই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। ২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক মন্দা-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ব্যাংকের ভূমিকা আরো দুর্বল হয়েছে। দেশটির ৮০ শতাংশ করপোরেট বিদেশী বন্ডের মালিকানা চলে গেছে মিউচুয়াল ফান্ড, বীমা কোম্পানি পেনশন তহবিলগুলোর হাতে।

একইভাবে ব্যাংকের ভূমিকা দুর্বল হওয়ার পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শক্তিমত্তা বাড়ছে ইউরোপেও। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটলমেন্টসে গবেষণা বলছে, বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৫০ শতাংশ হিসাবই নিয়ন্ত্রণ করছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফআইগুলো। যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতির আকারের তুলনায় খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণ যৎসামান্য।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের অর্থনীতিতেও কার্যকর ভূমিকা রাখছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কাছ থেকে নিবন্ধন নিয়ে দেশটিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে হাজার ৫০৭টি এনবিএফআই। ভারতের শীর্ষস্থানীয় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো বাজাজ ফাইন্যান্স লিমিটেড। শুধু প্রতিষ্ঠানটিই ২০২০-২১ অর্থবছরে নিট মুনাফা করেছে হাজার ৪১৯ কোটি রুপি। লাখ ৩৮ হাজার কোটি রুপিতে গিয়ে ঠেকেছে প্রতিষ্ঠানটির সম্পদের আকার। প্রতি বছর অন্তত হাজার কোটি রুপি নিট মুনাফা অর্জন করে ভারতে এমন এনবিএফআইয়ের সংখ্যাও কয়েক ডজন।

অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভুক্ত ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে হাতেগোনা চার-পাঁচটি ছাড়া সবগুলোর অবস্থাই নাজুক। অনিয়ম-দুর্নীতি লুণ্ঠনের শিকার হয়ে দেউলিয়ার পর্যায়ে চলে গেছে অন্তত এক ডজন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে প্রশান্ত কুমার হালদার একাই চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুটেছেন। গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় অবসায়নের পথে রয়েছে পিপলস লিজিং নামের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। দুর্বল হয়ে পড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের আমানতের অর্থও ফেরত দিতে পারছে না। দেশের সবকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত সম্পদের পরিমাণ ৯১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা।

দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্দশার চিত্র উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনেও। বাংলাদেশ সিস্টেমিক রিস্ক ড্যাশবোর্ডের (বিএসআরডি) জুন-২০২১ সংখ্যায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যে চিত্র তুলে ধরা হয়েছে সেটি ভয়াবহ। এতে দেখা যায়, চলতি বছরের জুনে এসে খাতটির ইকুইটির বিপরীতে আয় (আরওই) এবং সম্পদের বিপরীতে আয়ের (আরওএ) গড় নেতিবাচক ধারায় চলে গেছে। একই সঙ্গে বেড়েছে এনবিএফআইগুলোর আয়-ব্যয়ের অনুপাত। প্রডাক্ট বৈচিত্র্য না থাকায় এনবিএফআইগুলোর আয়ের ৭০ শতাংশই এসেছে সুদ খাত থেকে।

বিশ্বব্যাপী সমৃদ্ধির ধারায় থাকলেও বাংলাদেশে কেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের দুর্দিন চলছে, সেটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বণিক বার্তার পক্ষ থেকে কথা বলা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ব্যাংক খাতের প্রতি যতটা গুরুত্ব বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল, তার ছিটেফোঁটাও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পায়নি। খাতের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বিকশিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি ছাড়াই। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণ, তদারকি পরিদর্শনের ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা সীমাহীন উদাসীনতার পরিচয় দিয়েছে। খারাপ প্রতিষ্ঠানগুলোর নেতিবাচক সংবাদে খাতের ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোও ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কখনই গুরুত্ব পায়নি বলে মনে করেন শিল্পোদ্যোক্তা আজম জে চৌধুরী। প্রাইম ব্যাংকের পাশাপাশি দেশের একাধিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা-পরিচালক হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন তিনি। ইস্ট কোস্ট গ্রুপের কর্ণধার বণিক বার্তাকে বলেন, অযত্ন-অবহেলায় দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেড়ে উঠেছে। যে চেয়েছে তাকেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। ফলে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই কোনো শক্তিশালী আর্থিক ভিত কিংবা কাঠামো তৈরি হয়নি। কিছু প্রতিষ্ঠানের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রভাব ভালোগুলোর ওপর পড়েছে।

আজম জে চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিকশিত হয়েছে ইকুইটি সংস্থান, বন্ড মার্কেট, কমার্শিয়াল পেপারসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ বিভিন্ন প্রডাক্টের ওপর ভর করে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো সে অর্থে কোনো বন্ড মার্কেটই নেই। এতদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর তহবিলের প্রধান উৎস ছিল ব্যাংক থেকে ধার করা আমানত। এখন ব্যাংকগুলোও আর টাকা দেয় না। পরিস্থিতি যে জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে, তাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা না পেলে অনেক প্রতিষ্ঠানই হারিয়ে যাবে।

দেশের ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমই কেবল নগরে সীমাবদ্ধ। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত আমানতের পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। এনবিএফআই খাতের মোট তহবিলের ২৪ দশমিক ৭০ শতাংশ হলো বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেয়া ধার। ৪৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ তহবিল আমানতকারীদের। বাকি ১৭ শতাংশ হলো যথাক্রমে মূলধন অন্যান্য দায়।

চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশের ব্যাংক খাতের মোট আমানতের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। বিবেচনায় দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জমা থাকা ৪২ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকার আমানত যৎসামান্যই। জুন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি খাতে দেশের ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণ ছিল ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ছিল বেসরকারি খাতে। অথচ ওই সময়ে বেসরকারি খাতে এনবিএফআইগুলোর বিতরণকৃত ঋণ ছিল মাত্র ৬৭ হাজার ২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ছিল খেলাপির খাতায়।

১৯৯৩ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। আইন অনুযায়ী এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হলো বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নীতিপ্রণয়ন বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুটি বিভাগ রয়েছে। যদিও বিভাগ দুটির সক্ষমতা কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন বহুদিনের। পিকে হালদার কেলেংকারির ঘটনা উন্মোচিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দুটি বিভাগ ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দ্রুততম সময়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণ, সঞ্চিতি সংরক্ষণ, শ্রেণীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন জারি করা হয়। সংস্কারকৃত নীতিমালাগুলো কার্যকর হলে খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণশৃঙ্খলা ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঋণ পোর্টফোলিওর বৈচিত্র্যের পাশাপাশি পুঁজিবাজারের জন্য শক্তিশালী অঙ্গপ্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে জায়গা করে নিয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ারও বলছেন, দেশে ব্যাংককে যতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ততটাই উপেক্ষিত থেকেছে। যদিও সুযোগ ছিল দেশের বাজারে শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত গড়ে তোলার। কিন্তু পরিচালনার অভাব অবহেলায় সে সুযোগ নষ্ট হয়েছে। ব্যাংক খাতে কিছুটা হলেও করপোরেট সুশাসন ধরে রাখার চেষ্টা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুশাসনের বিষয়টি নজরই দেয়া হয়নি। বন্ড মার্কেট গড়ে না ওঠায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকাশের পথ রুদ্ধ হয়েছে। তার পরও যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে, অন্যদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে সেটিও ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

খাজা শাহরিয়ার বলেন, সারা বিশ্বে এনবিএফআইগুলোর তহবিলের প্রধান উৎস হলো বন্ড মার্কেট। অথচ দেশে বন্ড মার্কেটের বিকাশ না হওয়ায় আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত নিয়ে তহবিল সংগ্রহ করছি। তহবিল সংগ্রহের ব্যয় বেশি হওয়ায় বেশি সুদে ঋণ বিতরণ করতে হয়েছে। ভালো গ্রাহকরা বেশি সুদে ঋণ নেয় না। ফলে এনবিএফআইগুলো বাধ্য হয়েই অপেক্ষাকৃত মন্দ গ্রাহককে ঋণ দিতে বাধ্য হয়েছে। গ্রাহকদের কাছ থেকে তিন মাস মেয়াদি আমানত নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি ঋণ বিতরণ করা হলে সেটি কখনই ভালো কিছু হবে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতকে ঘুরে দাঁড় করাতে হলে অবশ্যই শক্তিশালী বন্ড মার্কেট সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি পরিচালনা পর্ষদ ব্যবস্থাপনায় নিশ্চিত করতে হবে কার্যকর সুশাসন। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এরইমধ্যে চারটি বন্ড বাজারে এনেছে। অন্যরাও এগিয়ে আসতে পারলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এত ছোট ছোট আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখা কঠিন। এজন্য তিন-চারটি প্রতিষ্ঠানকে একীভূত করে একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলামও মানছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ তদারকিতে ঘাটতির কথা। তবে বাস্তবতার নিরিখেই সেটি সম্ভব হয়নি বলে মনে করছেন তিনি। সিরাজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, প্রত্যেকের ওপরই নিজের ঘর পাহারা দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে। এখন কেউ যদি নিজেই নিজের ঘর চুরিতে সহযোগীর ভূমিকা রাখে, তবে সে চুরি ঠেকানো কঠিন। ভালো মানুষ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত না হয়ে সে প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ ব্যবস্থাপনায় যদি ধান্ধাবাজ ঢুকে যায়, সেটি ডুববেই। অতীতের দুর্ঘটনাগুলো থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিক্ষা নিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় ব্যাংক শুধু চলতি মূলধনের জোগান দেয়। মেয়াদি ঋণ দেয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমাদের দেশে স্বল্পমেয়াদি আমানত সংগ্রহ করে ব্যাংকগুলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিতরণ করছে। মূল দায়িত্বের বাইরে গিয়ে বহু কাজ করতে গিয়ে ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজি হারাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন