র্যানসমওয়্যার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি খাত। এ খাতের শীর্ষ ১৫০টি কোম্পানির এক-চতুর্থাংশ এ হামলার মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে ৭৭ শতাংশ কোম্পানি গত তিন মাসে অন্তত একবার সন্দেহজনক হামলার শিকার হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ব্ল্যাক কাইটের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, তেল খাতের মোট ২৮ শতাংশ র্যানসমওয়্যার হামলার শিকার হতে পারে। অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, তেল শিল্পে আক্রমণ হলে দেশব্যাপী ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে। যে কারণে গ্রাহকরা বিভিন্ন উপায়ে গ্যাসবাহী ট্রাকে গ্যাস মজুদ করে রাখছেন।
চলতি বছর মে মাসে মার্কিন ইস্ট কোস্টের মূল জ্বালানি পাইপলাইনের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে র্যানসমওয়্যার হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে ওই পাইপলাইন অপারেটরটি পাঁচদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পূর্ব সমুদ্রপথের প্রধান পাইপলাইনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক জ্বালানি সংকট দেখা দেয়, যা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে। এর প্রভাবে বেড়ে যায় পেট্রলের দাম। গ্যাস স্টেশনগুলোও ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
ব্ল্যাক কাইটের গবেষণায় আরো দেখা গেছে, এখনো পুরনো সিস্টেমে থাকায় প্রায় ৪৯ শতাংশ জ্বালানি খাত হামলা প্রতিরোধে দুর্বল, এছাড়া ৭৪ শতাংশ এনার্জি কোম্পানি ই-মেইল স্পুফিং আক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় কনফিগারেশন (ডিএমআরসি রেকর্ড) রাখেনি। র্যানসমওয়্যার হামলার ঝুঁকিতে থাকা শীর্ষ ১৫০টি কোম্পানির ২৫ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস সাবসেক্টরের। অত্যন্ত সংবেদনশীল অবস্থায় রয়েছে কোম্পানিগুলো। এ তালিকায় আছে ১৭ শতাংশ বিদ্যুৎ কোম্পানি।