ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চলতি সপ্তাহে বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এজন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব বসানোর জন্য অনুমোদিত সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার দ্রুত মোবাইল ল্যাব স্থাপন করে করোনা পরীক্ষা চালু করবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন গতকাল বিমানবন্দরের কার পার্কিং ইয়ার্ডে বিদেশগামী কর্মীদের করোনা পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপনের সাইট পরিদর্শনকালে এ কথা জানানো হয়।
এ সময় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান আশ্বস্ত করে বলেন, আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে ল্যাব স্থাপনসহ আরটি-পিসিআর কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি জানান, ল্যাব স্থাপনের জন্য নির্বাচিত একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্ধারিত স্থানে মোবাইল ল্যাব স্থাপন করবে।
কার পার্কিং ইয়ার্ডে করোনা পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের সাইট পরিদর্শন শেষে বিমানবন্দরে স্থাপিত প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক পরিদর্শন ও প্রবাসী কর্মীদের জন্য দেয়া সেবা কার্যক্রম তদারক করেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। তারা মুজিব কর্নারও পরিদর্শন করেন। এ সময় জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শহীদুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দেশের বিমানবন্দরগুলোতে করোনা পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ল্যাব বসাতে ১৫ সেপ্টেম্বর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেয়া হয়।
যে সাতটি প্রতিষ্ঠান ল্যাব বসানোর অনুমতি পেয়েছে, সেগুলো হলো স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ সাত প্রতিষ্ঠানের নাম প্রস্তাব করেছে। আর এ সাত প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে স্টেমজ হেলথ কেয়ারে বিমানবন্দরের বহির্গামী যাত্রীরা করোনার নমুনা পরীক্ষা করতে পারবেন ২ হাজার টাকায়। এছাড়া বিমানবন্দরে স্থাপিত সিএসবিএফ হেলথ সেন্টারের ল্যাব নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে ১ হাজার ৮৫০ টাকা, এএমজেড হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষায় খরচ নেবে ১ হাজার ৮০০, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে ২ হাজার, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ নমুনা পরীক্ষায় খরচ নেবে ১ হাজার ৭০০, গুলশান ক্লিনিকের ল্যাব নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে ১ হাজার ৭৫০ এবং ডিএমএফআর ল্যাব নমুনা পরীক্ষার খরচ নেবে ২ হাজার ৩০০ টাকা। এ সাত প্রতিষ্ঠানকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউরের (এসওপি) আলোকে ল্যাব স্থাপনের প্রয়োজনীয় স্থান বরাদ্দসহ আনুষঙ্গিক ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
