টোকিওর পুলে ১৮ বছর বয়সী তিউনিস তরুণের চমক

ক্রীড়া ডেস্ক

টোকিও অলিম্পিকে ছেলেদের ৪০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ফাইনালে বাঘা বাঘা সব প্রতিপক্ষকে হারিয়ে স্বর্ণ জয় করে চমক দেখালেন তিউনিসিয়ার ১৮ বছর বয়সী সাঁতারু আহমেদ হাফনাউই। এ ইভেন্টে অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক ম্যাকলাফলিন রৌপ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কিয়েরান স্মিথ ব্রোঞ্জ জিতেছেন। 

তিন বছর আগে বুয়েন্স আয়ার্সে যুব অলিম্পিক গেমসে অষ্টম হয়েছিলেন হাফনাউই। এবার সিনিয়র অলিম্পিকে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট জিতে নিলেন। প্রথমার্ধে বিদ্যুৎ-গতিতে এগোনোর পর শেষ ৫০ মিনিটে গতি আরো বাড়িয়ে দেন হাফনাউই। সব মিলে, ৩ মিনিট ৩.৩৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে তিনি টোকিওতে স্বর্ণ জয়ের গৌরব দেখান। অথচ বাছাইয়ে ৩ মিনিট ৪৮.৬৮ সেকেন্ড টাইমিং করে অষ্টম হিসেবে ফাইনালে উঠেছিলেন। তাই ফাইনালে ছিলেন আন্ডারডগ। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে তিনিই শেষ পর্যন্ত সোনার পদক গলায় তুললেন।   

২০১৯ সালে হাফনাউই স্বপ্নের কথা বলছিলেন, ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ জিততে চান তিনি। কিন্তু লক্ষ্যের চার বছর আগেই তিনি চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরলেন। পঞ্চম তিউনিসিয়ান হিসেবে ও সাঁতারে দ্বিতীয় তিউনিসিয়ান হিসেবে অলিম্পিক স্বর্ণ জিতলেন হাফনাউই। 

তার বাবা মোহাম্মদ হাফনাউই ছিলেন তিউনিসিয়ার জাতীয় বাস্কেটবল দলের খেলোয়াড়। এবার বাবাকে ছাঁপিয়ে টোকিওতে স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন এ তরুণ। 

জয় শেষে হাফনাউই বলেন, আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, এটা অভাবনীয়। আমি পুলে গতকালের চেয়ে আজ (শনিবার) ভালো বোধ করছিলাম, এভাবেই হয়ে গেল। আমি এখন অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন। আমার স্বপ্ন সত্যি হলো। 

তার আগে একমাত্র তিউনিসিয়ান হিসেবে অলিম্পিকের সুইমিং পুল থেকে স্বর্ণ জেতার কীর্তি আছে ওসামা মেলোলির। যিনি ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে পুরুষদের ১০ কিলোমিটার ম্যারাথান সুইমিংয়ে স্বর্ণ জয় করে ইতিহাস গড়েছিলেন। এছাড়া ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকেও ১৫০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন তিনি। মেলোলিকে নিয়ে হাফনাউই বলেন, তিনি একজন কিংবদন্তি। আমি একদিন তার মতো হতে চাই। আমি যখন দেশের পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত শুনতে পাই তখন কেঁদে ফেলি। এটা ছিল অবিবিশ্বাস্য। আমি তার জন্য গর্বিত।

২৭ জুলাই ৮০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে লড়াই করবেন হাফনাউই, ফাইনাল তার দুদিন পর ২৯ জুলাই। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন