টানা ৮ কার্যদিবস ধরে ঊর্ধ্বমুখী সূচক

মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে লাগাম টানতে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের মধ্যেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে পুঁজিবাজারে। আর সূচকের ধারাবাহিক উত্থানের কারণে দুদিন ধরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতাও দেখা যাচ্ছে। অবশ্য এর মধ্যেও গতকাল দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক দৈনিক গড় লেনদেন বেড়েছে।

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা দেখা গেলেও অনেক বিনিয়োগকারী তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আসন্ন আর্থিক ফলাফলের দিকে লক্ষ রাখছেন। তারা মনে করছেন শিল্প-কারখানা চালু থাকার ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। এতে অনেকেই নতুন করে খাতভিত্তিক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করছেন। কারণে গতকালও বাজারে বিনিয়োগকারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ দেখা গেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। এর কিছু সময় পর সূচকের বড় ধরনের নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এরপর আবার উত্থান পতনের মাধ্যমে মিশ্র অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪৩৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা আগের দিন ছিল হাজার ৪২৩ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, রেনেটা, লাফার্জ হোলসিম, ন্যাশনাল ব্যাংক, পদ্মা অয়েল, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক শাইন পুকুর সিরামিকসের।

এদিকে ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল সামান্য কমে দিন শেষে দশমিক ৯০ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ২৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে, যা আগের দিন ছিল হাজার ২৩৩ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে পয়েন্ট বেড়ে গতকাল হাজার ৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৮৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্টে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এর আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৭৭৬ কোটি ৬৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৫৪টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৪৩টির, কমেছে ১৩৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৭৬টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩১ দশমিক ২৬ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে সাধারণ বীমা খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। দশমিক ৮৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে আর্থিক খাত। দশমিক ১৫ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থান ছিল ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের। আর দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে খাদ্য আনুষঙ্গিক খাত।

গতকাল ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে শীর্ষ সিকিউরিটিজ ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, বিডি ফাইন্যান্স, রবি, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্স্যুরেন্স, লাফার্জ হোলসিম, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল।

গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছে ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড মিল, শাইন পুকুর সিরামিক, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, নাহী অ্যালুমিনিয়াম, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড- পিপলস ইন্স্যুরেন্স।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন