মৌলভীবাজারে কভিড-১৯ পরীক্ষার আরটি-পিসিআর ল্যাব নেই। সিলেটের ল্যাবে নমুনা পাঠানোর পর সেখানে পরীক্ষা শেষে ফল পাঠানো হয় জেলায়। পরীক্ষার ফলাফল আসতে দেরি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হয় উপসর্গ দেয়া রোগীদের। এতে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছে মানুষ। এছাড়া ফল জানতে দেরি হওয়ায় অনেকেই আইসোলেশন না মেনে উপসর্গ নিয়েই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছেন। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছে জেলাবাসী।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোয় কভিডের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে। সেখান থেকে পরীক্ষা নিশ্চিত হয়ে ফলাফল পেতে সর্বনিম্ন দুদিন এবং সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। করোনার উচ্চঝুঁকির জেলা হলেও পিসিআর ল্যাব না থাকায় বাড়ছে ভোগান্তি। এতে করোনা পরীক্ষায় আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় গত বুধবার পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ১১১ জনের। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৯২৬ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৬১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনজন। বাকিরা বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মারা গেছেন ২৪ জন।
সিভিল সার্জন ড. চৌধুরী জালাল উদ্দিন মুর্শেদ বলেন, এটা খুব জরুরি। এখনো আমাদের ১৮৯টি নমুনা জমা দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে আপাতত করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করব। যাতে জরুরি ভিত্তিতে নমুনাগুলো এখানে পরীক্ষা করা যায়।