৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে মূলধন সংগ্রহ করবে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। রোববার ব্যাংকটির ৭৮৯তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আইএফআইসি ব্যাংকের এ বন্ড হবে নন-কনভার্টিবল (শেয়ারে রূপান্তরযোগ্য নয়) সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে এই বন্ড ইস্যু করা হবে। এর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে ব্যাংকটি তাদের টিয়ার-টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) আইএফআইসি ব্যাংকের সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৬ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩২ পয়সা। তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ২২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪০ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৯ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৫ টাকা ৯৩ পয়সা।
সর্বশেষ সার্ভিল্যান্স ক্রেডিট রেটিংয়ে আইএফআইসি ব্যাংকের অবস্থান দীর্ঘমেয়াদে ‘ডাবল এ’
ও স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-টু’। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)।
২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির সম্মিলিত ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৯২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১২ পয়সা। সে বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সম্মিলিত এনএভিপিএস দাঁড়ায় ১৮ টাকা ২ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ১৬ টাকা ৮ পয়সা।
২০১৮ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল আইএফআইসি ব্যাংক। ২০১৭ হিসাব বছরে ১২ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দেয় ব্যাংকটি। তার আগে ২০১৬ ও ২০১৭ হিসাব বছরেও একই হারে বোনাস শেয়ার পেয়েছিলেন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা।
ডিএসইতে গতকাল আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ারের সর্বশেষ ও সমাপনী দর ছিল ১২ টাকা ৩০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১৭ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।