দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনা ছিল বঙ্গবন্ধুর: এমএ মুহিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারণাকে বঙ্গবন্ধু ধারাবাহিকভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে বোধগম্য জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। এভাবে তিনি জাতি গঠন জাতি রাষ্ট্রের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। তিনি জানান, দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনা ছিল বঙ্গবন্ধুর।

গতকাল বিজয়ের মাসের প্রথম দিন ঢাকার সুগন্ধায় নবনির্মিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের প্রথম দিনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে মুহিত এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল সংকল্প, সাহস, উদারতা এবং দরিদ্রদের প্রতি সমবেদনা। বঙ্গবন্ধু দৃঢভাবে বিশ্বাস করতেন, দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে উর্বর ভূমি বিশাল জনগোষ্ঠীসহ সবকিছুই তার ছিল। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জনকল্যাণের নীতি অনুসরণ করেন জাতির পিতা। ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধুর মধ্যে সাহসী নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠেছিল। বিখ্যাত নেতা সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে তার আজীবন সম্পর্ক ছিল ছাত্র-শিক্ষকের। জাতির পিতা মাত্র তিন বছর সাত মাসে সংবিধান সংশোধনসহ ৫১৯টি আইন পাস বা সংশোধন করেছিলেন যাতে জনগণের সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি ১৯৭৪ সালে সমুদ্রসীমা আইন পাস করেছিলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী . কে আব্দুল মোমেন সূচনা বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম মননশীলতার ওপর গবেষণা প্রয়োজন। কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর প্রথম কার্যালয় সুগন্ধায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর ডিপ্লোমেটিক স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের বন্ধু অত্যন্ত দূরদর্শী নেতা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। জনগণের অধিকার আদায়, গণতন্ত্র আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, বঞ্চনা বৈষম্য দূরীকরণে তিনি তার সমগ্র জীবন ব্যয় করেছেন। জনগণের ক্ষমতায়নে সারা জীবন কাজ করে গেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৬৮টি বৈদেশিক মিশনে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবী, শিক্ষকসহ প্রবাসীদের অংশগ্রহণে সেমিনার, ওয়ার্কশপ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বনেতাদের কাছে আমরা বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে চাই। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজন করতে চায়। বঙ্গবন্ধু সবসময় বিশ্বাস করতেন, উন্নয়নের জন্য শান্তি প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন