ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনালের কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল নির্মাণকাজ। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বন্ধ হওয়া বিমানবন্দরগুলো চালু করেছে। পাশাপাশি বিমানের নিরাপদ সেবা নিশ্চিত করেছে। নদী সাগর পাড়ে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, সম্ভাবনা কাজে লাগাতে কাজ করছে সরকার। ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশাপাশি চট্টগ্রাম কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের এবং সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক মানের করে গড়ে তোলা হবে। এছাড়া উন্নয়ন করা হবে যশোর বিমানবন্দরের।

জানা গেছে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মিত হলে নতুন টার্মিনাল ভবন দিয়ে বছরে ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত নির্মিত টার্মিনালে ব্যবহার হবে দৃষ্টিনন্দন উপকরণ, যা দেশী-বিদেশী যাত্রীদের মুগ্ধ করবে। নতুন টার্মিনাল ভবনের নকশা করেছে কোরিয়ার ইয়োশিন হিরিম নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানের জন্য টার্মিনালে থাকবে ছয়টি বোর্ডিং ব্রিজ, কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক ইন কাউন্টার, ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ছয়টি এসকেলেটর, নয়টি লিফট, তিনটি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট। টার্মিনালের প্রথম তলা আগমনী যাত্রীদের জন্য দ্বিতীয় তলা বহির্গামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হবে।

শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে আসা যাত্রী টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে সরাসরি যেতে পারবেন। আবার বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা প্রথম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস

রোড দিয়ে শহরের যেকোনো প্রান্তে যেতে পারবেন। টার্মিনাল অভিমুখী বা বহির্মুখী সব যানবাহন চলাচল হবে একমুখী, যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখবে।

নতুন টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে আরো যেসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে, তা হলো অত্যাধুনিক সুবিধা সংবলিত কার্গো টার্মিনাল, ফায়ার স্টেশন, কন্ট্রোল টাওয়ার, প্রশাসনিক ভবন, রক্ষণাবেক্ষণ ভবন, ছয়টি উড়োজাহাজ পার্কিং উপযোগী অ্যাপ্রোন, ট্যাক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র, ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেমসহ নতুন টার্মিনালে থাকবে আরো নানা সুবিধা।

উল্লেখ্য, দরপত্র যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সরকারের অনুমোদনক্রমে গত ২৪ মার্চ বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন