ঢাকার অভিজাত এলাকায় বাড়ছে অপরাধ

কাজে আসছে না সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ মহামারীতে আর্থিক সংকটের পাশাপাশি বেড়ে চলেছে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ছিঁচকে অপরাধ। জনবহুল এলাকাগুলোর পাশাপাশি ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতেও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিঁচকে অপরাধীরা। সশস্ত্র অবস্থায় এখন দিনেদুপুরে তাদের দেখা যাচ্ছে রাজধানীর ফুটপাতে। একই সঙ্গে বেড়েছে দামি গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনাও। এসব এলাকার নিরাপত্তায় নেয়া সিসিটিভি মনিটরিং ব্যবস্থাও কাজে আসছে না।

রাজধানীর নিকেতনে সোমবার সকালে টহল ডিউটি করছিলেন গুলশান থানার এসআই জাকির হোসেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গুলশান- নম্বর থেকে সাউথ এভিনিউ হয়ে পুলিশ প্লাজার দিকে যাওয়ার সময় সিটি ব্যাংকের সামনের ফুটপাতে তিনজন যুবককে সশস্ত্র অবস্থায় হেঁটে যেতে দেখেন। কিছুদূর সামনে গিয়ে তারা দুই নারীকে চাকু ধরে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। সময় দ্রুত সেখানে উপস্থিত হয়ে তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেন এসআই জাকির হোসেন। ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন।

ঘটনার দুই দিন আগে অর্থাৎ শনিবার গুলশান নম্বরে আরেক নারী ছিনতাইয়ের শিকার হন। প্রধান সড়কের পাশে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। এর বাইরে গাড়ি নিয়ে চলন্ত পথেও হরহামেশাই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে গুলশানে। এমন ঘটনার শিকার হয়ে চলতি মাসের প্রথম দিকে গুলশান থানায় মামলা করেন এক নারী। তিনি অভিযোগ করেন, রিকশায় যাওয়ার পথে পেছন থেকে একটি গাড়িতে এসে তার হাতে থাকা ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে চলে যায় ছিনতাইকারীরা।

অভিজাত এলাকা হিসেবে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো গুলশান সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু তার পরও ছিনতাইয়ের পাশাপাশি বর্তমানে গুলশানে গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনাও বেড়েছে। বিশেষ করে বিলাসবহুল যেসব গাড়ি মালিক নিজেই চালান, সেগুলোকে টার্গেট করে চুরি করে নেয়া হচ্ছে গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ। গুলশান এলাকার রেস্তোরাঁ এবং ব্যাংকগুলোর সামনে ধরনের ঘটনা অনেক বেশি ঘটছে। ধরনের চুরির ঘটনায় বেশকিছু মামলা হয়েছে গুলশান থানায়। কিন্তু এসব অপরাধে সম্পৃক্তরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।

গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, সম্প্রতি গাড়ির যন্ত্রাংশ চুরির বেশকিছু ঘটনা পেয়েছি। বেশির ভাগ ঘটনাতে দেখা যায়, মালিক নিজেই যখন গাড়ি চালিয়ে পার্ক করে রেখে কোনো ব্যাংকে বা রেস্তোরাঁয় ঢোকেন, সে সময় অল্পবয়সী ছেলেরা গাড়ির মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে নেয়। তারা এমনভাবে গাড়ির সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকে, দেখলে যে কারো মনে হবে তারা গাড়ি পরিষ্কার করছে অথবা গাড়ি মেরামত করছে। এমন কিছু মামলা তদন্ত করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন