ভারতে ক্রসফায়ার এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কুখ্যাত মাফিয়া বিকাশ দুবে পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর এ নিয়ে ভারতজুড়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। ফলে অপরাধীদের মধ্যেও এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারবহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের প্রবণতা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ভীতির কথা বলেই আত্মহত্যা করেছেন উত্তরপ্রদেশের এক অভিযুক্ত। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের আমরোহায় ৬ বছরের শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেছেন। পরে উদ্ধার হয় তার সুইসাইড নোট। সেটিতে লেখা আছে, ‘এনকাউন্টারে মরতে চাই না, তাই আমি নিজেই আমার পথ বেছে নিলাম’।
অবশ্য সুইসাইড নোটের সঙ্গে জামাকাপড় ও পরিচয়পত্র উদ্ধার হলেও তার মরদেহ খুঁজে না পাওয়ায় পুলিশ এই নোটকে গুরুত্ব দিতে চাচ্ছে না। তার স্কেচ তৈরি করে ৫০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। সুইসাইড নোটের লেখার সঙ্গে অভিযুক্তের হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, নির্যাতিতা ওই শিশুর বাড়ি আমরোহার হাপুর গ্রামে। অভিযুক্ত দলপত সিংহ লাগোয়া গ্রাম মেহমুদপুরের বাসিন্দা। গত ৬ আগস্ট হাপুর গড়ের কাছে খেলছিল ওই শিশু। সেই সময় দলপত তাকে জোর করে কাছের একটি জঙ্গলে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুকে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে যায়। ১২ ঘণ্টা পর পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা ওই জঙ্গলের ভিতর থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই শিশুর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।
ঘটনার পর থেকেই দলপতের সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ। তার স্কেচ এঁকে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সন্ধান দিতে পারলে ৫০ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মধ্যে আজ শুক্রবার মেহমুদপুর গ্রামের কাছেই সুইসাইড নোট-সহ তার কয়েকটি জামাকাপড় এবং যে সংস্থায় দলপত কাজ করত, তার পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমি জানি আমাকে এনকাউন্টারে হত্যা করা হবে। কিন্তু আমি সেভাবে মরতে চাই না। জীবন শেষ করতে আমি নিজেই নিজের পথ বেছে নেব। দয়া করে আমার সন্তানদের হেনস্থা করবেন না।’
পুলিশ বলছে, যতোক্ষণ না অভিযুক্তের মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে ততোক্ষণ এই সুইসাইড নোট বিশ্বাস করা হবে না। তার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া