স্থানীয় সময় রোববারের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বেলারুশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। নির্বাচনের প্রাথমিক ফল অন্তত এমনটাই বলছে। কিন্তু লুকাশেঙ্কোর এ বিপুল জয় মেনে নিতে নারাজ তার প্রধান প্রতিপক্ষ স্বেতলানা তিখানোভস্কায়া। ফলে তার সমর্থকরা রাজধানী মিনস্কসহ অন্য শহরে নির্বাচন পরবর্তী বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধলে আটক করা হয় তিন হাজার বিক্ষোভকারীকে। খবর বিবিসি ও এএফপি।
বেলারুশের এ নির্বাচন এমন সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন লুকাশেঙ্কোর নেতৃত্ব নিয়ে দেশটিতে হতাশা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তার প্রতিপক্ষের নির্বাচনী র্যালিতে বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর আগে দেশটিতে নির্যাতনের শিকার হন অধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা। তবে লুকাশেঙ্কো তার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বিদেশ থেকে নিয়ন্ত্রিত ‘ভেড়া’ বলে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষার জন্য তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এদিকে স্বেতলানা তিখানোভস্কায়া নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে কর্তৃপক্ষকে প্রতিপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি তোলেন। গতকাল তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দ ব্যক্ত করেছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা শোনেনি। এখন কীভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আমাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়, তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের চিন্তাভাবনা করা উচিত। এ নির্বাচনে প্রকৃতপক্ষে আমি নিজেকে বিজয়ী বলে মনে করছি। একই সঙ্গে তিনি বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি কর্তৃপক্ষ বল প্রয়োগ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। আমরা যতই তাদের জনগণের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলি না কেন, তারা আমাদের কথা শুনছে না।
এদিকে নির্বাচনপরবর্তী বিক্ষোভকালে অনুমোদনহীন জমায়েতের অভিযোগে বেলারুশ পুলিশ অন্তত তিন হাজার মানুষকে আটক করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের মধ্যে এক হাজার জনকে আটক করা হয়েছে রাজধানীতে। মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, বেশকিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে ৫০ জনের মতো বেসামরিক মানুষ ও ৩৯ পুলিশ সদস্য আহত হন।