মারধরের অভিযোগে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বুধবার বিকালে মেহেরপুর আদালতে মামলাটি করেন সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হবির ছেলে খোকন। মামলায় মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনন্দসহ অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলা আশরাফপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হবির ছেলে খোকনকে মারধর করেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনন্দ। লিজন আমদাহ ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের ছেলে। আনন্দ শহরের গোরস্তানপাড়ার আব্দুল বারির ছেলে। ১ আগস্ট ঈদের দিন বিকালে আশরাফপুর গ্রামের সোহাগ ও আশরাফুল নামে দুই যুবক একই গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে সজীবকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। গ্রামের ছেলে হিসেবে আহত সজীবকে হাসপাতালে দেখা করতে যান খোকনসহ কয়েকজন। খোকন হাসপাতালে এসেছে শুনে লিজন ও আনন্দসহ অজ্ঞাতনামা ছয়-সাতজন হাসপাতালের ভেতরে খোকনের ওপর হামলা করে।
এদিকে ঈদের দিন বিকালে আহত সজীবের বাবা মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সোহাগ ও আশরাফুলের নামে আদালতে মামলা করেন। মামলার বিষয়ে জানতে পেরে আসামিরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে মর্মে গতকাল দুপুরে মেহেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বাদী মনিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা বলেন, মারধরের ঘটনা শুনেছি, আজ (গতকাল) মনিরুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
