করোনা সংক্রমণের ভয়ে ৯৩ হাজার মিংক হত্যা

বণিক বার্তা ডেস্ক

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখে দিতে অন্তত ৯৩ হাজার মিংক হত্যা করেছে স্পেনের অ্যারাগন অঞ্চলের সরকার।  গত মে মাসে সাতজন কর্মী করোনাভাইরাসে পজিটিভ হওয়ার পর লা পুয়েবলা ডে ভালভার্দের মিংক ফার্মগুলো বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে বেজির মতো দেখতে প্রাণী ছিল পর্যবেক্ষণের মধ্যে।

ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও মিংকের মধ্যে অদ্ভূত কোনো আচরণ লক্ষ্য করা যায়নি কিংবা তাদের মৃত্যুর হারও বাড়েনি। যদিও সোমবার ৯০টি মিংকের নমুনা পরীক্ষার পর ৭৮টির মধ্যেই করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এরপরই কর্মকর্তারা মিংক হত্যার নির্দেশ দেন, যাতে অন্য প্রাণীর মধ্যে এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে না পারে। 

অ্যারাগন কৃষি বিভাগ বলছে, মানুষ থেকে প্রাণীর দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে কিনা, কিংবা প্রাণী থেকে মানবদেহে, তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবু পূর্বসতর্কতা হিসেবেই প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।

গত ৫ মে বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছিল, যেসব প্রাণীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মিংক। তার সপ্তাহখানেক আগেই নেদারল্যান্ডসের দুটি পশমের খামারের কয়েকটি মিংক করোনাভাইরাসে পজিটিভ হয়। তার আগের মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি চিড়িয়াখানার বাঘ ও সিং এক কর্মীর মাধ্যমে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। 

এখন পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যপ্রমাণ থেকে দেখা যাচ্ছে, বুনো বাদুরের শরীর থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। যদিও মধ্যবর্তী কোনো প্রাণী এটি বহন করে মানুষের দেহে সংক্রমিত করেছে। যদিও বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি- বেজি, নেউল নাকি কচ্ছপ; কে ছড়িয়েছে এই ভাইরাসটি। 

কে ছড়িয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে না পারলেও, অনেক প্রাণীর মধ্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি মানুষের জন্য উদ্বেগের। কেননা এর মাধ্যমে আরো বেশি মাত্রায় ভাইরাসটি ছড়ানোর শঙ্কা থেকেই যায়। আবার পশুপাখির পরীক্ষা নিরীক্ষা অপেক্ষাকৃত কম করা হয় বলে তারা বছরের পর বছর ধরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি বয়ে বেড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঠিক এ কারণেই, স্পেনে কোনো দ্বিধা না করেই প্রায় ৯৩ হাজার মিংককে হত্যা করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন