রূপগঞ্জে গাউছিয়া মার্কেটের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন

৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি দাবি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাউছিয়া মার্কেটের কাঁচাবাজার অংশে (টিন মার্কেট) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে মার্কেটটির প্রায় অর্ধশত দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ভুলতা এলাকায় দেশের অন্যতম বড় পাইকারী কাপড়ের বাজারটিতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গাউছিয়া মার্কেট বন্ধ রয়েছে। মার্কেটটির কাঁচাবাজার অংশে একটি ওষুধের দোকানে থাকা ফ্রিজের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে এমন ধারণা করছেন দোকানিরা। এ ঘটনায় গাউছিয়া মার্কেটকর্মী ও আনসাররা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সোয়া ৫টার দিকে টিন মার্কেটে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। অল্প সময়ের মধ্যে আগুন মার্কেটের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে মার্কেটে টিন, ওষুধ, মুদি ও কাচাঁমালের দোকানসহ কমপক্ষে ৫০টি দোকান ও ভেতরের সব মালামাল পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। খবর পেয়ে কাঞ্চন, পূর্বাচল, আড়াইহাজার ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে পুড়ে প্রায় অর্ধশত দোকান ও সব মালামাল পুড়ে যায়।

গাউছিয়া মার্কেটের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল জানান, গাউছিয়া মার্কেটের মালিকানাধানীর তিন নম্বর ইউনিটটি কাঁচাবাজার। এই কাঁচাবাজারে বেশ কয়েকটি ওষুধের দোকান, মুদি মনোহরী দোকান, কাঁচামাল, সবজি, তেলের দোকান ও চালের আড়তসহ দেড়শর মতো দোকান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে দুপুর আড়াইটায় দোকানপাট বন্ধ করে গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। আজ বিকেলে হঠাৎই আগুনের সূত্রপাত হয়। সাথে সাথে আগুন পুরো মার্কেটে ছড়িয়ে পুরো এলাকা কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।

আগুনে তিন কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ এম এ মান্নান বলেন, অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হতে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তেলের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহতা বেড়ে যায়। এতে করে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে দুই কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন