কাল থেকে খুমেকেই হবে করোনা পরীক্ষা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

খুলনা মেডিকেল কলেজে (খুমেক) করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে স্থাপিত পিসিআর (পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন) মেশিনটি আগামীকাল মঙ্গলবার উদ্বোধন করা হবে। খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এ পিসিআর মেশিন উদ্বোধন করবেন। 

এদিকে গত দুই দিনে খুলনা থেকে করোনাভাইরাসের ৪৫টি নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ২২টির প্রতিবেদন এসেছে, প্রত্যেকটিই নেগেটিভ। আর যে ২৩টি নমুনার রিপোর্ট আসার বাকি সেগুলোর মধ্যে খুলনার এনডিসির নমুনাও আছে বলে জানা গেছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. শাহনাজ পারভীন বলেন,  করোনা টেস্টের জন্য কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সবাইকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়া করোনা টেস্টের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ কয়েকদিন খুলনায় থেকে সহযোগিতা করবেন। তিনি জানান, কলেজে ২৪০ পিস কিট সংরক্ষিত আছে। নমুনা হাতে পাওয়ার পর প্রতিটি টেস্টের জন্য সর্বোচ্চ ৩-৪ ঘণ্টা লাগবে।

এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, এখানে সোমবার নতুন একজন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে এখানে মোট তিন জন ভর্তি আছেন। তাদের একজনের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ইউনিটে এখন মোট শয্যা ১৫০।

অপরদিকে করোনাভাইরাস আতঙ্কে দেশের অন্যান্য হাসপাতালের মতো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও রোগী কমে গেছে। যেখানে প্রায় সারা বছর ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মোহাম্মদ রেজা সেকেন্দার জানান, বতর্মানে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন ২০৬ জন। যেখানে হাসপাতালের মোট শয্যা সংখ্যা ৫০০।

সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেয়া পিসিআর মেশিনটি খুলনা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় তলার মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য নিযুক্ত করা হয়েছে একজন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট। এ মেশিনের মাধ্যমে সন্দেহজনক ব্যক্তির রক্ত, ঘাম ও কফ পরীক্ষা করা হবে। কেউ চাইলেই নিজে এসে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারবেন না। এজন্য হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে আসার পর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ডায়াবেটিক হাসপাতালের ১৫০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড। সেখানে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ৬০ চিকিৎসক, ৬০ নার্স ও ৫০ জন কর্মচারী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন