এআই নিয়ন্ত্রণের আহ্বান সুন্দর পিচাইয়ের

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে। এআই মানবজাতির জন্য আশীর্বাদ হবে নাকি আভিশাপ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক চলমান রয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বৈশ্বিক সার্চ জায়ান্ট গুগল প্রতিষ্ঠানটির প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই প্রযুক্তি খাতে এআই নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন। খবর বিবিসি।

সুন্দর পিচাই বলেন, এআই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয় গাড়ি চিকিৎসাসেবায় ব্যবহারের জন্য নীতিমালা বা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই প্রয়োজন। তবে কাজের জন্য সামাজিক মানুষের দায়বদ্ধতার মধ্য থেকে একটি বোধগম্য উপায় বের করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন তিনি।

গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী পাঁচ বছরের জন্য চেহারা শনাক্তকারী প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির কথা জানিয়েছে। এর পরই অ্যালফাবেট প্রধানের এআই প্রযুক্তির প্রয়োগে মানদণ্ড ঠিক করা প্রয়োজন নিয়ে ঘোষণা এসেছে।

পিচাই উল্লেখ করেন, বর্তমান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এআইয়ের বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও মানুষের অস্তিত্ব ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। কারণ ডিপফেক ভিডিও কিংবা কম্পিউটারে তৈরি নিখুঁত নকল ভিডিও মানবসভ্যতাকে তীব্র হুমকির মুখে ফেলেছে। সাধারণত ধরনের নেতিবাচক কাজে এআই/ প্রযুক্তির ব্যবহার হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। যে কারণে কিছু ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

প্রাইসওটারহাউজকুপার্সের এআই বিভাগের প্রধান মারিয়া অক্সেন্ট বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন নিয়ন্ত্রণই এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের সঠিক পথ হতে পারে। তবে এখানে প্রশ্ন হলো, কীভাবে এআই প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, যা প্রযুক্তির উদ্ভাবনকে ধ্বংস না করে এআইয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সক্ষম হবে। কারণ এআই আমাদের জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।

২০১৯ সালে গুগল কর্তৃপক্ষ -সংক্রান্ত জটিল সমস্যা সমাধানের জন্য স্বতন্ত্র নীতিশাস্ত্র বোর্ড চালু করেছিল। তবে অভ্যন্তরীণ কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি বন্ধ করে দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন