বরিশালের মীরগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কের
মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের মুলাদী প্রান্তে পন্টুন ও গ্যাংওয়ে ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সকাল ৮টায় বিদ্যুতের অতিরিক্ত খুঁটিবোঝাই একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় এ
দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ট্রাকটির পেছনের অংশ ডুবে গেলেও এর চালক ও হেলপার অক্ষত
ছিলেন। এ ঘটনায় ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জহিরুল অরুণ জানান, শনিবার সকালে বিদ্যুতের খুঁটিবোঝাই ট্রাকটি আড়িয়াল খাঁ নদ পাড়ি দিতে ফেরিতে বাবুগঞ্জ প্রান্ত থেকে মুলাদী প্রান্তে যায়। ফেরি থেকে ওপরে ওঠার সময় ট্রাকের ওজনে পন্টুনটি ডুবে যায়। ট্রাকটি অর্ধনিমজ্জিত হয়ে পড়ে। ১৬টি খুঁটি পরিবহনে সক্ষম ওই ট্রাকে ছিল ৪২টি খুঁটি। এ দুর্ঘটনার পর থেকে বরিশাল-মীরগঞ্জ-মুলাদী-হিজলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের
ফেরি বিভাগের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান,
ট্রাকটি উত্তোলন করে ওই ফেরিঘাট সচল করার চেষ্টা
করা হয়। তবে এ রুটে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে রোববার (আজ) পর্যন্ত
লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ফেরির সুপারভাইজার মো. রফিকুল
ইসলাম জানান, খুঁটিবোঝাই ট্রাকটি ফেরি থেকে উঠে গ্যাংওয়ে পার হওয়ার সময় ট্রাকের
ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। খাড়া ঢাল থাকায় ট্রাকটি মুহূর্তে পেছনের দিকে এসে পন্টুনে
আটকে যায়। এতে অতিরিক্ত ওজনের চাপে পন্টুন কাত হয়ে পানি ঢুকে যায়। এ সময় ট্রাকের
পেছনের অংশসহ পন্টুন পুরোপুরি ও গ্যাংওয়ে আংশিক ডুবে যায়। ট্রাকে থাকা চালক ও
হেলপার নিরাপদে বের হয়ে পালিয়ে গেছেন। ফেরি থেকে ওঠার সময় ট্রাকটির ইঞ্জিন বন্ধ না
হলে এ দুর্ঘটনা ঘটত না বলে মনে করেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল
সওজের ফেরি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
আজম শেখ। তিনি জানান, ট্রাকটি
অতিরিক্ত মালবোঝাই হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণ করে ট্রাকটি
উদ্ধারের পর ক্রেন দিয়ে ডুবে যাওয়া পন্টুন উদ্ধার করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে যান
চলাচল শুরুর জন্য ওই ঘাটের পাশে একটি বিকল্প গ্যাংওয়ে নির্মাণসহ আরেকটি পন্টুন
প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে সওজের এ
প্রকৌশলী বলেন, ইজারাদার কারো কথা শোনে না। যারা গাড়ি চালায় তারাও মানে না। এখানে
অনেকটা জিম্মি দশার অবস্থা।