ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের
বহুল আলোচিত পর্দাসহ কেনাকাটায় দুর্নীতির মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন
আদালত। এ তিন আসামি হলেন ফমেকের সহযোগী অধ্যাপক (দন্ত্য বিভাগ) ডা. গণপতি
বিশ্বাস শুভ, হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালট্যান্ট (গাইনি) ডা. মিনাক্ষী চাকমা ও হাসপাতালের সাবেক প্যাথোলজিস্ট
ডা. এএইচএম
নুরুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে দুদকের দায়ের করা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে এ
তিনজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত
অতিরিক্ত-১-এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহার।
এর আগে হাসপাতালটির কেনাকাটায়
দুর্নীতির মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগে গত ২৭ নভেম্বর মামলা করে
দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী বাদী হয়ে
ফরিদপুর জজ আদালতে মামলাটি করেন। আদালতে
(মামলা নং-৪) দুদকের ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কমলেশ মন্ডল মামলাটি
রেকর্ড করান।
দুদকের করা এ মামলায় মালপত্র
সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিক ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল
মামুন, মেসার্স আহমেদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সি ফররুখ আহমেদ, জাতীয়
বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেন, ফরিদপুর
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক
(দন্ত্য বিভাগ) ডা. গণপতি বিশ্বাস শুভ, ফমেক
হাসপাতালের সাবেক জুনিয়র কনসালট্যান্ট
(গাইনি)
ডা.
মিনাক্ষী চাকমা ও সাবেক প্যাথোলজিস্ট ডা. এএইচএম
নুরুল ইসলামকে আসামি করা হয়।
মামলার পর উচ্চ আদালত থেকে আসামিরা ছয়
সপ্তাহের জামিন পান। এ জামিনের মেয়াদ শেষে গতকাল ছয় আসামির মধ্যে ওই তিনজন
ফরিদপুরের আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর
করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর
ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দুলাল চন্দ্র সাহা। তবে
আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমন খান এ ঘটনায় উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।