পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা
হয়েছে, প্রেসিডেন্টের নির্দেশে মার্কিন সেনা কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা এবং বিদেশের মাটিতে মার্কিন কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ইরান সমর্থিত আধাসামরিক বাহিনীতে বেষ্টিত সোলাইমানি গাড়িতে করে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর অভিমুখে যাওয়ার সময় মার্কিন বিমান হামলার শিকার হন। ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী আজ শুক্রবার জানিয়েছে, রকেট হামলায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত হয়েছে।
সোলাইমানির নিহত হওয়ার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকার একটি ছবি টুইট করেছেন।
জেনারেল সোলাইমানি নিহত হওয়ার খবর ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডও নিশ্চিত করেছে। ইরাকি মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদি আল-মুহানদিসও এ হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে তারা।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে ‘মারাত্মক বিপজ্জনক’ ও ‘বোকামি’ বলে বর্ণনা করেছেন। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খোমেইনি এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে সোলাইমানি নিহত হওয়ার জেরে বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে।
জেনারেল সোলাইমানি ইরানে নায়কোচিত সম্মান পান। তিনি যেকোনো বিষয়ে সরাসরি সর্বেোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামে্নইনি কাছে রিপোর্ট করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ইরাকে
ইরানি মদদপুষ্ট মিলিশিয়া বাহিনীর ওপর মার্কিন বিমান হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা বাগদাদের গ্রিন জোনে প্রবেশ করে মার্কিন দূতাবাস লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে এবং দূতাবাসের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা দূতাবাসের মূল ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং ভাংচুর করে।এ ঘটনায় ইরানকে হুমকি দিয়ে টুইটও করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
আরো হামলার আশঙ্কায় সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাকের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিন দফা বিমান হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় দু'টি গাড়ি বিস্ফোরিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
১৯৯৯ সাল থেকে মেজর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ইরানের কুদস ফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে এই বাহিনী বিদেশে গোপন অভিযান পরিচালনা করেছে। ১৯৮০ সালের ইরান-ইরাক যুদ্ধে দেশের হয়ে লড়তে তিনিই প্রথম এগিয়ে আসেন।