বান্দরবানের থানছি উপজেলার বিজয় তাজিংডং পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপনের দায়ে মালিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পরিবেশ আদালত। একই সঙ্গে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজ এজলাসে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন পরিবেশ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তের নাম মো. আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি ওই ভাটার মালিকদের একজন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সঙ্গে নিয়ে ভাটা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপসহকারী পরিচালক ও সিনিয়র কেমিস্ট সামিউল আলম কুরসি।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ইটভাটার মালিকদের একজন আব্দুল কুদ্দুছকে আদালতে ডেকে আনা হয়। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে থানছি উপজেলার বিজয় তাজিংডং পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধভাবে স্থাপন করা ইটভাটা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় ইটভাটাসংক্রান্ত কাগজপত্রে নাম না থাকলেও ভাটায় নিজের জড়িত থাকার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন আব্দুল কুদ্দুছ। একই সঙ্গে ওই ভাটার সঙ্গে থানচি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো, মো. আইয়ুব ও চিংসাথোয়াই প্রকাশ বিপ্লবের জড়িত থাকার বিষয়ও স্বীকার করেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে এসে রাতে নিজ এজলাসে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন, ২০১৩-এর ১৪, ১৫, ১৬, ১৮ ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ১৫(১)-১২ ধারা অনুযায়ী তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করেন পরিবেশ আদালতের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। একই সঙ্গে জরিমানার টাকা অনাদায়ে দুই বছর এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। উল্লিখিত সাজা একটা শেষ হলে অন্যটি শুরু হবে বলেও জানান বিচারক।
সামিউল আলম কুরসি আরো জানান, এ ইটভাটাসংক্রান্ত বিস্তারিত তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বর্তমানে তদন্ত চলছে, নির্ধারিত তারিখে প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গতকাল দুপুরে এ রায়ের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেন বান্দরবান পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এর আধঘণ্টা পর পরই তা প্রত্যাহার করা হয় বলে জানান বান্দরবান পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশ।
