উনিশের জার্নাল পর্ব ৬ : পেঁয়াজ

বাকি মাত্র ৯ দিন। এর পরই বিদায় নেবে ঘটনাবহুল একটি বছর—২০১৯। বছরটিতে এমন কিছু ঘটেছে, জাতীয় জীবনকে যা প্রচণ্ডভাবে প্রভাবিত করেছে। আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে, বিতর্কও  তৈরি করেছে, এমন সব ঘটনা নিয়ে প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এ আয়োজন

উৎপাদন - চাহিদা- আমদানি
চাহিদার ক্ষেত্রে এক ধরনের কার্যকর তথ্যের উপস্থিতি থাকলেও উৎপাদনের   নির্ভরযোগ্য তথ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। ২৪ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে এখন উৎপাদন হচ্ছে ১৮ লাখ টন। উৎপাদনের গতিও খুব বেশি বাড়ছে না। প্রায় ৬-৭ লাখ টন ঘাটতি চাহিদার ৭০-৮০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে ভারত থেকে। উৎপাদনে কৃষক এখনো প্রথাগত জাত ব্যবহার করছেন। ফলে সারা বিশ্বে হেক্টরপ্রতি গড় উৎপাদন ২৫ টনের উপরে থাকলেও বাংলাদেশে তা এখনো ১০ টনের নিচে।
বাংলাদেশে আমদানীকৃত পেঁয়াজের সিংহভাগই আসে ভারত থেকে। আমদানিকারকদের তথ্যমতে, স্বাভাবিক সময়ে ভারত থেকে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানিতে টনপ্রতি ৮৫০ ডলার মূল্য বেঁধে দেয় দেশটি। এর পরদিনই বাংলাদেশের বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে যায়।


 প্রতি কেজি ৩০০ টাকা ছুঁই ছুঁই
মূলত মুড়ি কাটা পেঁয়াজের সংকট থাকায় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজের ঘাটতি থাকে। এজন্য এ সময়ে কিছুটা দাম বাড়ে। কিন্তু চলতি বছর সবসময়ের দাম ছাড়িয়ে যায়। এ সময়ে দেশে উৎপাদন না থাকা এবং ভারত রফতানি নিষিদ্ধ করার কারণে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে দেখা গেছে। টানা তিন মাস পণ্যটির দাম ১০০ টাকার উপরে থাকে, যা যেকোনো সময়ের রেকর্ড।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন