সুনামগঞ্জের হাওড়ে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) গঠনের শেষ সময় ছিল ১৩ ডিসেম্বর। আর বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ১৫ ডিসেম্বর থেকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পিআইসির সংখ্যাই চূড়ান্ত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে বাঁধ নির্মাণের মূল কাজও শুরু করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় হাওড়ের কৃষকরা ফের বন্যার পানিতে ফসলডুবির আশঙ্কা করছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের ছোট-বড় ৪২টি হাওড়ে এ বছর প্রাথমিকভাবে ৮৫৬ কিলোমিটার বাঁধ মেরামত, সংস্কার ও নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কাজে ১১ উপজেলায় প্রাথমিকভাবে ৭০৪ পিআইসি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও এ সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে গত অর্থবছরে ৫৭২টি পিআইসি গঠন করে বাঁধ নির্মাণের কাজে প্রায় ৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এবার এ কাজে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৬৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জের সব হাওরের বোরো ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এর মূলে ছিল ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে পিআইসি গঠনে অনিয়মের পাশাপাশি ঠিকাদার ও পাউবোর দুর্নীতি। সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে সময়মতো বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় তলিয়ে যায় হাওড়ের একমাত্র ফসল বোরো ধান।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সময়মতো বাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করা হয়। একই সঙ্গে কৃষকদের নিয়ে পিআইসি গঠনের মাধ্যমে হাওড়ে বাঁধ নির্মাণের নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে সরকার। কিন্তু এবারো নির্ধারিত সময়ে পিআইসি গঠন হয়নি। ফলে সময়মতো বাঁধ নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
কৃষক এরশাদ আহমদ বলেন, সময়মতো বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতি বছরই হাওড়ে ফসলহানির আশঙ্কা থাকে। ২০১৭ সালে হাওড়ের আবাদকৃত ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এ বছরও এখনো হাওরে বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়নি। ফলে ফসলহানির ভয় থেকেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের কৃষক নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল তুহিন বলেন, অতিবৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় এখানে সবসময়ই আগাম বন্যার আশঙ্কা থাকে। ফলে বন্যার হাত থেকে ফসল রক্ষার একমাত্র কার্যকর উপায় নির্দিষ্ট সময়ে বাঁধ নির্মাণ। কিন্তু এবার এখনো বাঁধ নির্মাণ শুরু না হওয়ায় হাওড়ের ফসল হুমকির মধ্যে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় কৃষকদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব বাঁধ নির্মাণ শুরু করা হোক।
হাওড় বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন বলেন, হাওড়ে বাঁধ নির্মাণে পিআইসি গঠনের জন্য গণশুনানি
