বীমার আওতায় আসছেন বিদেশগামী সব শ্রমিক। এর আওতায় দুই বছরের জন্য ১ হাজার ৯৭৫ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে ৫ লাখ টাকার বীমা সুবিধা পাবেন বিদেশগামী বাংলাদেশী শ্রমিকরা। একই সময়ের জন্য মাত্র ৪৯০ টাকা প্রিমিয়াম দিয়ে পাওয়া যাবে ২ লাখ টাকার বীমা পলিসি সুবিধা। আগামী বছর জানুয়ারি থেকে বিদেশগামী প্রত্যেক কর্মীকেই বাধ্যতামূলকভাবে এ বীমা করতে হবে।
বিদেশ গমনেচ্ছু অথবা প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের সুরক্ষার জন্য দুই ধরনের বীমা ব্যবস্থা চালু করে গত ২৫ নভেম্বর পরিপত্র জারি করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, বিদেশগামী কর্মীরা পরিকল্প-১ ও পরিকল্প-২-এর মধ্যে যেকোনো একটি বীমা পলিসি গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সঞ্জীব কুমার দেবনাথ স্বাক্ষরিত ওই পরিপত্রে বলা হয়েছে, পরিকল্প-১-এ ২ লাখ টাকার পলিসির ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ৯৯০ টাকা। আর পরিকল্প-২-এ ৫ লাখ টাকার পলিসির ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম ২ হাজার ৪৭৫ টাকা। ২ লাখ টাকার পলিসি বাধ্যতামূলক। আর ৫ লাখ টাকার পলিসিটি ঐচ্ছিক। বিদেশ যাওয়ার আগে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে যেসব ছাড়পত্র নিতে হয়, সেগুলোর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হবে ২ লাখ টাকার জীবন বীমা পলিসি। প্রিমিয়ামের অংক যা-ই হোক না কেন, উভয় পলিসির ক্ষেত্রেই সরকার দেবে ৫০০ টাকা। অর্থাৎ ৯৯০ টাকা প্রিমিয়ামের মধ্যে বীমাগ্রহীতাকে দিতে হবে ৪৯০ টাকা। অন্যটিতে বীমাগ্রহীতাকে দিতে হবে ১ হাজার ৯৭৫ টাকা।
বীমা পলিসি দুটি করা হয়েছে ১৮ থেকে ৫৮ বছর বয়সীদের জন্য। প্রাথমিকভাবে বীমা ব্যবস্থাটি ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সার্বিক তত্ত্বাবধানে জীবন বীমা করপোরেশন বাস্তবায়ন করবে। এ লক্ষ্যে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও জীবন বীমা করপোরেশনের মধ্যে একটি চুক্তি হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন ২০১৩-এর ধারা ২০ অনুযায়ী বিদেশগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে বীমা পলিসি গ্রহণ বাধ্যতামূলক বলে বিবেচিত হবে। কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশগামী সব কর্মীকে ছাড়পত্রের জন্য প্রদেয় অন্যান্য ফির সঙ্গে প্রযোজ্য বীমা প্রিমিয়ামও দিতে হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৪ অক্টোবর ‘প্রবাসী কর্মী বীমা নীতিমালা’ নামে একটি নীতিমালা জারি করে