বগুড়ায় ২৪ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বগুড়া

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ভুয়া শিক্ষার্থীদের দিয়ে প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা দেওয়ানোর অভিযোগে ৩ প্রধান শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২৪ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা (টিও) কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এতথ্য জানানো হয়।

শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য স্থানের ন্যায় এ উপজেলায় রোববার থেকে প্রাথমিক ও এবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা (পিইসি) শুরু হয়েছে।উপজেলার ১৯টি কেন্দ্রে ৫৯টি স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে এবছর ৭৬১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। প্রথম দিন থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত শিক্ষা কর্মকর্তার অনুসন্ধানে ২টি কেন্দ্রের ৩টি প্রতিষ্ঠানের ২৪ জন পরীক্ষার্থী ভুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে শনাক্ত হয়েছে।

এরমধ্যে ছাতিয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গোবিন্দপুর স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার ১৫ জন, রামপুরা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৩ জন ও ভান্ডারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রঘুনাথপুর নয়াপাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৬ জন। এই ২৪জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে সংশ্লিষ্ট ৩ প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের কাছে জবাব চেয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।

ভান্ডারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ৬ শিক্ষার্থী রঘুনাথপুর নয়াপাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এবিষয়টি জানার পর শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে তাদের কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

উপজেলার গোবিন্দপুর স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মারুফ আহম্মেদ বলেন, এসব শিক্ষার্থী তথ্য গোপন করে পিইসি পরীক্ষায় ফরম পুরন (ডিআর ভুক্ত) করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বহিষ্কারের পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় শিক্ষা কর্মকর্তার দেওয়া নোটিশের জবাব যথাসময়ে দেওয়া হবে। এদিকে রামপুর ও রঘুনাথপুর নয়াপাড়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।

ধুনট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চেয়ে পত্র দেওয়া হয়েছে।  জবাব সন্তোষজনক না হলে পিইসি পরীক্ষার আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন