সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড পেলেন স্যার ফজলে হাসান আবেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ার ইমেরিটাস স্যার ফজলে হাসান আবেদকে আউটস্ট্যান্ডিং মেম্বার অব দ্য সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা অ্যাওয়ার্ড (ওএমএসএডি) পুরস্কারে ভূষিত করেছে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধীন ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (আইএসএএস) গত শুক্রবার রাতে সিঙ্গাপুরের শাংগ্রি-লা হোটেলে আয়োজিত গালা ডিনার অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করা হয় তাকে।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড জাস্টিসের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হাসান ওবিই স্যার ফজলে হাসান আবেদের পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন। ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো এবং বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা . ইফতেখার আহমেদ মানপত্র পাঠ করেন। অতীতে পুরস্কারে ভূষিতদের মধ্যে রয়েছেন সিঙ্গাপুরের সাবেক রাষ্ট্রপতি এসআর নাথান।

সাউথ এশিয়ান ডায়াসপোরা কনভেনশন ২০১৯ শীর্ষক দুদিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে এই গালা ডিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। স্পন্দিত দক্ষিণ এশিয়া-উদ্ভাবনশীল অভিবাসী সম্প্রদায় প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলন আয়োজনে সিঙ্গাপুরের বাংলাদেশ দূতাবাসও সহায়তা করছে। 

অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর সরকার এবং অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক এবং বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নেতারা ব্যক্তিমালিকানা খাতের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের চেয়ারম্যান এবং সিঙ্গাপুর সরকারের ভ্রাম্যমাণ রাষ্ট্রদূত গোপীনাথ পিল্লাই বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদের কর্মপ্রচেষ্টা বিশ্বের লাখো মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান এবং দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়াতে তার জীবনলক্ষ্য শুধু দক্ষিণ এশিয়ার অভিবাসী সম্প্রদায় নয়, সমগ্র সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা সঞ্চার করেছে।

ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধীনে স্বায়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে থাকে। দক্ষিণ এশিয়ার বৈচিত্র্যপূর্ণ সমাজ, অর্থনীতি, রাজনীতি সংস্কৃতি সম্পর্কে গবেষণালব্ধ নিবিড় পর্যবেক্ষণ, তথ্য-উপাত্ত সিঙ্গাপুর এবং এর বাইরে বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক, ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ গবেষকদের সামনে তুলে ধরে ইতিবাচক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন