বলিভিয়ার নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের প্রত্যাবর্তনের দাবিতে সমর্থকদের বিক্ষোভে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে পাঁচজন নিহত ও অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। খবর বিবিসি ও গার্ডিয়ান।
২০ অক্টোবর বলিভিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ১৪ বছর ধরে শীর্ষ পদে থাকা ইভো মোরালেস। তবে বিরোধীরা তার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ আনেন। এছাড়া অর্গানাইজেশন অব আমেরিকান স্টেটসের (ওএএস) পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনেও নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়। নির্বাচনে মোরালেসের বিজয়ের ঘোষণায় তীব্র আন্দোলন শুরু করে বিরোধীরা। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভের জেরে ১০ নভেম্বর সেনাবাহিনীর চাপের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বলিভিয়ার প্রথম আদিবাসী প্রেসিডেন্ট। পরদিন তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়ার কথা জানায় মেক্সিকো। একদিন পর তিনি মেক্সিকোয় পৌঁছে রাজনৈতিক লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন। এরই মধ্যে ১২ নভেম্বর পার্লামেন্টে কোরাম সংকটের মধ্যে নিজেকে বলিভিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করেন দেশটির বিরোধীদলীয় সিনেটর জেনিন আনেজ। এর পরই রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানান মোরালেস।
হাসপাতাল পরিচালক গুয়াদালবার্তো লারা জানান, শহরের মধ্যাঞ্চলীয় শহর সাকাবায় বেশির ভাগ বিক্ষোভকারী নিহত হন। আরো কয়েক ডজন বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মেক্সিকোতে নির্বাসন থেকে মোরালেসের প্রত্যাবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভে পুলিশ গুলি ছুড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সর্বশেষ এ সহিংসতাকে ৩০ বছরের মধ্যে তার দেখা সবচেয়ে মারাত্মক আখ্যা দিয়ে লারা বলেন, এটা খুবই অপ্রত্যাশিত।
যদি মোরালেস দেশে ফেরেন, তাহলে নির্বাচনে কারচুপির কারণে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে বৃহস্পতিবার জানান অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আনেজ। এছাড়া আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোরালেস অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলেও ঘোষণা দেন তিনি। এ রকম হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষেপে ওঠে মোরালেস সমর্থকরা।
শুক্রবার সকালে সাকাবায় কয়েক হাজার আদিবাসী বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। কিন্তু কোচাবামবা শহরের সামরিক তল্লাশি চৌকি তারা অতিক্রম করতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। কয়েক সপ্তাহজুড়ে এ জায়গায় বেশ কয়েকবার মোরালেসপন্থী ও তাদের বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর দেশটিতে চরম অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ইমাটেরিও কোলক স্যানচিজ নামে ২৩ বছর বয়সী এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র বলেন, তিনি বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মরদেহ দেখেছেন
- গাজায় গণকবরের বিষয়ে ইসরায়েলের কাছে জবাব চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
- গাজার গণকবরে স্বজনদের খুঁজছেন ফিলিস্তিনিরা
- স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে অস্ত্র ত্যাগ করবে হামাস
- ইউক্রেন-ইসরায়েলে মার্কিন সহায়তার বিলে স্বাক্ষর বাইডেনের
- ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
- গাজায় দুর্ভিক্ষের খুব বেশি ঝুঁকি দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তা