‘স্পা’ পানির গুণগত মানের ওপর জোর দেয়

সম্প্রতি উঠতি ফটোগ্রাফারদের নিয়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের বোতলজাত পানির ব্র্যান্ড স্পা নির্বাচিত ১৫ জনকে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ফটোগ্রাফি প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা স্পা ট্যুর দ্য রেইনবো এবং আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের খুঁটিনাটি নিয়ে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির এজিএম মাইদুল ইসলাম। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফয়জুল্লাহ ওয়াসিফ

আকিজের সঙ্গে আপনার পথচলা এবংস্পাব্র্যান্ড নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতার কথা বলুন

২০০৯ সালে আকিজে যোগ দিই। ২০০৬ সালেস্পা যাত্রা। তখন বোতলজাত পানির বাজার এত বড় ছিল না। সুতরাংস্পা’-এর পথচলাও সহজ ছিল না।

আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের আর কী ধরনের পণ্য আছে?

বোতলজাত পানি স্পার পাশাপাশি কোমল পানীয়, জুস, চিপস ইত্যাদি পণ্য রয়েছে। আমরা জুস দুগ্ধজাত কিছু পানীয় বাজারে আনার পরিকল্পনা করছি। একটা পণ্য বাজারে আনার আগে অনেক ক্ষেত্রে তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত গবেষণা করা হয়ে থাকে।

বাজার গবেষণার প্রক্রিয়া এবং পূর্ব অভিজ্ঞতা কেমন?

আমরা একটা পণ্যের ব্যাপারে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে বাজারে আনি না। পণ্যের লাইফ সাইকেল, পরিবেশের উপযোগিতা গুণগত মান নিশ্চিত হওয়ার পর চূড়ান্ত উৎপাদন এবং বিপণনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।

স্পা’-এর ক্ষেত্রে কী ঘটেছিল?

স্পা’-এর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু সহজ ছিল। এখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া কম, নেই বললেই চলে। সুতরাং এটা নিয়ে তেমন বেগ পেতে হয়নি। পানির ক্ষেত্রে খনিজের ভারসাম্য রক্ষা করাটাই যথেষ্ট। পাশাপাশি বিএসটিআইয়ের কিছু গাইডলাইন অনুসরণ করতে হয়।

স্পার শুরুর দিকের এবং বর্তমান বাজার কেমন?

সবকিছুর শুরুটা কঠিন হয়। আর আমরা যে সময় বোতলজাত পানি বাজারে আনি, তখন মানুষ খোলা পানি খেতে অভ্যস্ত ছিল। সুতরাং বাজারে টিকে থাকাটা সহজ ছিল না। এখন মানুষ নিরাপদ পানির প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছে। বোতলজাত পানির ব্যাপারে আগ্রহ বাড়ছে, ফলে বাজারও বাড়ছে। বর্তমানেস্পা১১ শতাংশের মতো বাজার ধরতে পেরেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অথবা নম্বরে চলে আসবে।

সব ব্র্যান্ডের পানিই প্লাস্টিকের বোতলে বাজারজাত হচ্ছে। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর বিষয়টি কতটা গুরুত্ব পাচ্ছে?

ভালো একটি প্রশ্ন করেছেন। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো প্লাস্টিকের ব্যবহার কমিয়ে দিচ্ছে। আমরা সেভাবে পারছি না। তবে আকিজ রিসাইক্লিং করে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করছে। আমরা নিজেরা রিসাইক্লিং প্লান্ট করেছি।

স্পাব্র্যান্ডের সামাজিক কার্যক্রমগুলো কী কী?

পানির ব্র্যান্ড হিসেবেস্পা’-এর সামাজিক দায়বদ্ধতা একটু বেশি। আমরা হজের সময় ক্যাম্পেইন করে থাকি। এয়ারপোর্টে বিভিন্ন সহযোগিতার পাশাপাশি পানি, জুস ইত্যাদি দিয়ে থাকি। এছাড়া রমজানে তারাবি নামাজ কিংবা বিশ্ব ইজতেমার ক্লান্ত মুসল্লিদের মধ্যে আমরা পানি বিতরণ করে থাকি।

বোতলজাত পানির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে তর্ক রয়েছে। এটা অতিরিক্ত বলে মনে করেন ক্রেতারা।

অন্যান্য পণ্যের বিবেচনায় পানি থেকে খুচরা বিক্রেতারা বেশি লাভ করে। আমাদের লাভ সীমিত। খুচরা বিক্রেতারা যেখানে প্রান্তিক মুনাফা বেশি পায় সেই পানি বিক্রি করে।

স্পা ট্যুর দ্য রেইনবোপ্রতিযোগিতা নিয়ে জানতে চাই?

কিছু

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন